দেরাদুনে বাঙালি যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে ফেলে দেওয়া হল পাহাড়ের খাদে

পুলিস সূত্রে জানা গেছে, দেরাদুন থেকে উত্তরাখণ্ডের চকরোতা যাওয়ার পথে গাড়িতে ওই তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে গাড়ির চালক ও তার দুই সঙ্গী।

Updated By: Nov 11, 2014, 07:22 PM IST
দেরাদুনে বাঙালি যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে ফেলে দেওয়া হল পাহাড়ের খাদে

ওয়েব ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে খুন হলেন এরাজ্যের বাসিন্দা এক তরুণ  ও তাঁর সঙ্গিনী। নিহত তরুণ দমদমের ইটালগাছা রোডের বাসিন্দা। নিহত তরুণী কল্যাণীর বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, দেরাদুন থেকে উত্তরাখণ্ডের চকরোতা যাওয়ার পথে গাড়িতে ওই তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে গাড়ির চালক ও তার দুই সঙ্গী। বাধা দেওয়ায় খুন করে  ওই তরুণকে ফেলে দেওয়া হয় পাহাড়ের খাদে। এরপর স্থানীয় যমুনা নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা করা হয় তার সঙ্গিনীকে।

উদ্ধার হওয়া তরুণের দেহের কোনও দাবিদার না থাকায় তিন দিন পর দেহ পুড়িয়ে দেয় উত্তরাখণ্ড পুলিস। গ্রেফতার হওয়া গাড়ির চালক রাজু দাস ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে জেরা করার পর এ ঘটনা জানতে পেরেছে দিল্লি ও উত্তরাখণ্ডের পুলিস।  নিহত তরুণীর দেহের খোঁজে ধৃত গাড়ির চালক ও তার সঙ্গীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেছে উত্তরাখণ্ডের পুলিস।

অভিজিত্‍  ও মৌমিতা দাস কাজ করতেন দিল্লির একটি সংস্থায়। দিল্লিতে একসঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। বিয়েও ঠিক হয়েছিল তাঁদের। অক্টোবরের কুড়ি তারিখ উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে যান অভিজিত্‍ ও মৌমিতা। একুশ তারিখ ফোনে শেষবার কথা হয় কলকাতায় বাড়ির লোকেদের সঙ্গে। এরপর থেকে ওই দুজনের কোনও খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনায় দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় যুবকের পরিবারের তরফে। পরে উত্তরাখণ্ডে যান পরিবারের লোকজন।

তাঁদের অভিযোগ, সেই সময় কোনও সহযোগিতা করেনি উত্তরাখণ্ডের পুলিস। দিল্লি পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে ফের নভেম্বরের ছ তারিখ তাঁরা উত্তরাখণ্ডে যান।  তখনই তদন্তে নেমে গাড়িচালক রাজু দাসের খোঁজ পায় পুলিস। রাজুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের ঘটনা জানতে পারে পুলিস। গ্রেফতার  করা হয় রাজু ও তার দুই সঙ্গীকে। জেরায় রাজু জানিয়েছে, চকরোতা যাওয়ার সময়ই সঙ্গীদের গাড়িতে তুলেছিল সে ।

.