মহারাষ্ট্র-হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু, ফের ক্ষমতায় ফেরার লড়াইয়ে বিজেপি
মহারাষ্ট্রে ২৮৮ আসনের বিধানসভায় বিজেপি এবার লড়াই করছে ১৫০ আসনে। অন্যদিকে, বিজেপি শরিক শিবসেনা লড়াই করছে ১২৪ আসনে
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরু হল মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মহারাষ্ট্রে আজ লড়াইয়ের ময়দানে ৩২৩৭ প্রার্থী। অন্যদিকে হরিয়ানায় লড়ছেন ১১৬৯ জন। পাশাপাশি আজ উপনির্বাচনের ভোট নেওয়া হচ্ছে ১৮ রাজ্যের ৫১ বিধানসভা ও ২ লোকসভা আসনে। দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিজেপি। আর কংগ্রেস ক্ষেত্রে পুরনো আসন ধরে রাখার লড়াই।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের সব কথার উত্তর দেওয়ার সময় নেই রাজ্যের মন্ত্রীদের, কটাক্ষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় বিজেপি। অনেকটাই দুর্বল কংগ্রেস। দলীয় কোন্দল, শরিকি সমস্যা নিয়ে দুই রাজ্যেই জেরবার কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে মতো রাজ্যে শিবসেনার সঙ্গে নির্বাচনী জোট হওয়ায় স্বস্তিতে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের তিন রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর এবার ফের লড়াইয়ের সামনে বিজেপি।
হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যেভাবে জেরাল প্রচার করতে পেরেছে তার ধারেকাছে যেতে পারেনি কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোদ মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা চষে বেরিয়েছেন। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে মনোযোগ দিয়েছেন অমিত শাহ। এবার ভোটের প্রচারে বিজেপির হাতে রয়েছে ৩৭০ ধারা বিলোপের মতো ইস্যু।
মহারাষ্ট্রে ২৮৮ আসনের বিধানসভায় বিজেপি এবার লড়াই করছে ১৫০ আসনে। অন্যদিকে, বিজেপি শরিক শিবসেনা লড়াই করছে ১২৪ আসনে। বাকী আসনে লড়াই করছে বিজেপির অন্যান্য শরিকরা। অন্যদিকে, এনসিপিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে কংগ্রেস। দেবেন্দ্র ফড়নোবিশ, আদিত্য ঠাকরেরা একধিক রোড শো করে দাপিয়ে বেড়িয়েছে মরাঠা মুলুকে। বিজেপির গোটা প্রচারের বেশিরভাগটাই জুড়ে ছিল কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ।
আরও পড়ুন-মধ্যমগ্রামে দুর্ঘটনা, কর্মরত নার্সকে পিষে দিল দ্রুত গতিতে আসা লরি
অন্যদিকে, সোমবার হরিয়ানার ৯০ আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সাধারণভাবে এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান ইস্যুই হয় রাজ্যের সমস্যা। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ৩৭০ ধারা ও সার্জিক্যাল স্চ্রাইকের ওপরে ভিত্তি করে নির্বচনে লড়াই করতে। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, ভারতের নদীগুলি দিয়ে যে জল পাকিস্তানে বয়ে যাচ্ছে তা তিনি হরিয়ানার চাষিদের দেবেন। এর জন্য সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা খরচ করা হবে।