ছত্তিসগঢ়ের 'কুমারস্বামী' হয়ে উঠতে পারেন অজিত যোগী
অজিত যোগীর ছত্তিসগঢ় জনতা কংগ্রেস এবং মায়াবতীর বিএসপি জোট এবার বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকের মতো ছত্তিসগঢ়েও কি গেমচেঞ্জার হবেন কংগ্রেস-বিজেপির বাইরে তৃতীয় দলের নেতা? নাকি কুর্সিতে ফের কি রমন সিং? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, অজিত যোগী এবং মায়াবতী জোট বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। তপশিলী জাতি, উপজাতি ভোট জোটের ঝুলিতে গেলে অনেক হিসেবনিকেশই বদলে যেতে পারে।
ফের কি ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি? চতুর্থবারের জন্য ফের কি কুর্সিতে রমন সিং? নাকি কংগ্রেস? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। অজিত যোগীর ছত্তিসগঢ় জনতা কংগ্রেস এবং মায়াবতীর বিএসপি জোট এবার বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। অন্তত প্রথম দফার ১৮টি আদিবাসী অধ্যুষিত আসনে।
ছত্তিসগঢ়ে কংগ্রেসের আদিবাসী ভোট ৬৫ শতাংশ। রাজ্যে আদিবাসী সমাজের সবচেয়ে বড় মুখ অজিত যোগী কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় কংগ্রেসের এই ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসবে। সঙ্গে রয়েছেন দলিত মুখ মায়াবতী। রাজ্যে বহুজন সমাজ পার্টির ভোট ৪ থেকে ৬ শতাংশ। গোটা রাজ্যে জনসংখ্যার ৩২ শতাংশই আদিবাসী। ২৯টি আসন তাদের জন্য সংরক্ষিত। রাজ্যের ৩৫টি আসন এমন জায়গায় যেখানে ৪০ শতাংশের বেশি আদিবাসী ভোটার। গত বিধানসভা অর্থাত্ ২০১৩ সালে এই আসনগুলির মধ্যে ২২টি পায় কংগ্রেস এবং ১৩টি গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অজিত যোগী কংগ্রেসের হাত ছাড়ায় কংগ্রেসের দখলে থাকা এই ২২টি আসন যেতে পারে ছত্তিসগড় জনতা কংগ্রেসের ঝুলিতে। ২০০৮ সালে পিছড়বর্গের ভোট যায় বিজেপির ঝুলিতে। কিন্তু ২০১৩-য় তিনটি কারণে বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তারা। অরণ্যের অধিকার, তপশিলী জাতি-উপজাতি আইন এবং কৃষক বঞ্চনা।
মায়াবতী এবং অজিত যোগী জোট হওয়ায় তপশিলী জাতি-উপজাতির ভোট এবারও বিজেপির হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত অনেকের। ২০১৩ সালে বস্তার এলাকায় নোটায় ভোট পড়ে ২০ শতাংশ। সেই ভোট যদি এবার অজিতের ঝুলিয়ে যায়, তাহলে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন এই প্রাক্তন কংগ্রেসি। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
সব মিলিয়ে চিন্তার ভাঁজ কংগ্রেস এবং বিজেপির কপালে। কর্ণাটকে বিজেপির থেকে কম আসন পেয়েও কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের টোপ দিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। ছত্তিসগঢ়ে যদি অজিত যোগীর নতুন দল ভাল ফল করে সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না কেউই। তখন সরকার গঠনের চাবিকাটি থাকবে অজিত যোগীর হাতে। সেক্ষেত্রে কর্ণাটক ফর্মুলার পথে হাঁটতে পারে রাহুল গান্ধীর দল। লোকসভা ভোটের আগে আরও একটা রাজ্যে অবিজেপি সরকার গঠন হলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে কংগ্রেসের, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন- কান্দাহারগামী বিমান চালকের ভুলে হাইজ্যাকের বিপদসংকেত দিল্লি বিমানবন্দরে