অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১, রাতভর বৃষ্টির জেরে বন্যার কবলে বিহার-হরিয়ানাও
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বরপেতা জেলায়। সেখানকার প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মরিগাঁওয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের ভিটে জলের তলায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও অবনতি হয়েছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। রবিবার আরও চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এ নিয়ে অসমে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানান, জোরহাট, বরপেতা এবং ধুবড়িতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৮ জেলার সাড়ে ২৬ লক্ষ মানুষ।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বরপেতা জেলায়। সেখানকার প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মরিগাঁওয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের ভিটে জলের তলায়। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে, শুল্ক এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে অতিরিক্ত সচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ জানান, আরও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এমনটা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর আরও বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, তাঁর আশ্বাস সব রকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- নিরাপত্তা চেয়ে মুম্বই পুলিসের দ্বারস্থ কর্নাটকের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা
কৃষ্ণা জানান, গত বছর বন্যার জন্য ৫৯০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই অর্থ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত জেলাগুলির জন্য ৫৫.৮৫ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, অসমে বন্যপ্রাণদের অবস্থায় সঙ্কটে। বিশেষ করে কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভেসে যাওয়ায় প্রাণ সঙ্কটে বণ্যপ্রাণদের। তাদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অসম ছাড়াও হরিয়ানা, বিহারেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাতভর বৃষ্টির জেরে হরিয়ানার অম্বলায় জলমগ্ন জনবসতি। বিহারের পরিস্থিতিও একই। কমলা নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর বইছে। দ্বারভাঙ্গার একাধিক গ্রাম জলের তলায়। আজ সকালে দ্বারভাঙ্গার মধুবনি, শেওহর, সীতামারহি, মতিহারি জায়গা বিমানে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।