রোহিণী 'বাবা'কে যৌন উত্তেজক চিঠি লিখতে হত আবাসিকদের
১৯৯৮ সালে বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিতের নামে দায়ের হয় ৭ থেকে ৮টি মামলা। যার মধ্যে ৪টি গণধর্ষণ মামলাও রয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে দীক্ষিতের সহযোগী রবিন্দর দাসের নামও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রোহিণী 'বাবা'র আশ্রম সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তে। 'আধ্যাত্মিক বিশ্ব বিদ্যালয়' নামে স্বঘোষিত ধর্মগুরু বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিতের ওই আশ্রমের কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছিল ওই নির্মাণ। আর সেখানেই চলত দেহব্যবসা ও নারী পাচার চক্র। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালে বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিতের নামে দায়ের হয় ৭ থেকে ৮টি মামলা। যার মধ্যে ৪টি গণধর্ষণ মামলাও রয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে দীক্ষিতের সহযোগী রবিন্দর দাসের নামও।
শুক্রবার দিল্লির রোহিণীর 'আধ্যাত্মিক বিশ্ব বিদ্যালয়' থেকে উদ্ধার করা হয় ৪১ জন আবাসিককে। তারপরই রাজধানীর সবকটি আশ্রমে অভিযান চালানো হয়। তাতেই সামনে আসে কীভাবে কোনও রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ওই আশ্রমগুলি চলছিল।
আরও পড়ুন, 'লালু প্রসাদের জেল নরেন্দ্র মোদীর খেল', প্রতিক্রিয়া আরজেডির
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বহু মেয়েকেই তাঁরা আশ্রমের ভিতর ঢুকতে দেখতেন। কিন্তু আশ্রম থেকে তাঁদের আর বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যেত না। অভিযোগ, আশ্রমের খুপরি ঘরে বন্দি করে রাখা হত মেয়েদের। বেশিরভাগেরই বয়স ২৫ বছর। বাইরের জগতের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ রাখতে দেওয়া হত না। আশ্রমে ৭ থেকে ৮টি দরজা ছিল। কিন্তু সেগুলো সবসময়ই বন্ধ থাকত।
শুক্রবার প্রথম দফায় অভিযান চালানোর সময়ই আশ্রমের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভর্তি ওষুধ ও ইনজেকশন সিরিঞ্জ। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় একধরনের রাসায়নিকও। অভিযোগ, ওই রাসায়নিক আবাসিক মেয়েদের খেতে বাধ্য করা হত। যার ফলে আবাসিক মেয়েরা নেশাচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, 'বাবা' বীরেন্দ্রকে যৌন উত্তেজক চিঠি লিখতে হত আবাসিক মেয়েদের।
আরও পড়ুন, ১৬ হাজার মহিলার প্রতি আসক্তি! রাম রহিমের পর আরও এক ‘বাবা’র উদয়!