নাবালিকা ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত আসারাম, জেনে নিন এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সুরাটেও ওকটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে আসারামের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সাক্ষীদের খুন করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৩ সালে নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় বুধবার দোষী সাব্যস্ত করা হল স্বঘোষিত গুরু আসারামকে। এদিন ওই মামলায় রায় ঘোষণা করে যোধপুরের বিশেষ আদালত। উত্তরপ্রদেশের সাজাহানপুরের এক কিশোরীকে যোধপুরে নিজের আশ্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ ছিল আসারামের বিরুদ্ধে।
একনজরে দেখে নিন মামলার গতিপ্রকৃতি
মধ্যপ্রদেশের চিন্দওয়ারায় আসারামের আশ্রমে পড়াশোনা করত নির্যাতিতা কিশোরী। যোধপুরে নিজের আশ্রমে তাকে ধর্ষণ করে আসারাম, এমনটাই অভিযোগ ছিল।
অভিযোগ সামনে আসতেই তা সরাসরি উড়িয়ে দেওয়া হয় আসারাম শিবির থেকে।
বহু টালাবাহানা, ভক্তদের প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইন্দোর থেকে আসারামকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর আসারাম ও তার ৪ সঙ্গীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিস। পসকো আইন, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ও আইপিসি-তে একাধিক অভিযোগ আনা হয় আসারামের বিরুদ্ধে। নারী পাচার, শিশুদের উপরে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের মতো অভিযোগ দায়ের হয় স্বঘোষিত গুরুর বিরুদ্ধে।
সুরাটেও একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে আসারামের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ এনেছেন দুই বোন।
মামলার শুনানি শেষ হয় এমাসের ৭ এপ্রিল।
মোট ১২ বার জামিনের আবেদন করা হয় আসারামের পক্ষে। এর মধ্যে ৬টি বাতিল হয়ে যায়।
মামলার ৯ সাক্ষীর উপরে হামলা করা হয়। এর মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অবশেষে ২৫ এপ্রিল ওই ধর্ষণ মামলায় আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করল যোধপুরের তাপসিলি জাতি ও উপজাতি আদালত।