প্রিয়াঙ্কাকে চাই, রব উঠল কংগ্রেসের অন্দরেই
এই মুহূর্তে দেশের ২২টি রাজ্যের রাশ বিজেপির দখলে। এবার কর্ণাটকেও একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তবে এখনও পর্যন্ত সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একের পর এক রাজ্যে হার। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কার্যত দিশাহীন অবস্থা কংগ্রেসের। ফলে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনই ছিল শতাব্দী প্রাচীন দলটির কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু সেই পরীক্ষাতেও ব্যর্থ রাহুলের কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের উপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না দলের নেতা-কর্মীরা। সূত্রের খবর, দলের অন্দরেই বহু নেতা রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকেও দলের মুখ করতে চাইছেন। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও অনেকের মতেই, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সক্রিয় রাজনীতিতে আনলে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বর্তমান পরিস্থিতির থেকে অনেকটাই ভালো ফল করবে।
আরও পড়ুন- ম্যাজিক ফিগার পেরতেই বিজয়োত্সব শুরু বিজেপির
এই মুহূর্তে দেশের ২২টি রাজ্যের রাশ বিজেপির দখলে। এবার কর্ণাটকেও একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তবে এখনও পর্যন্ত সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি তারা। আসন সংখ্যা বিজেপির থেকে কংগ্রেস অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও জেডি(এস)-কে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ার সম্ভবনা তৈরি করেছে তারা। অথচ কর্ণাটক নির্বাচনের আগে প্রচারে নেমে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জোর গলায় বলেছিলেন, গত ৪ বছরে দেশে অনেকগুলি রাজ্য হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে। তবে এবার থেকে সেই অভ্যাস বদলাতে হবে। আর হার নয়। এমনকী ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতলে তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি বলে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু বড় গলায় বললেও, কর্ণাটক নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই কংগ্রেসের করুণ আবস্থা ফের সামনে চলে আসে। এই রাজ্যে গত নির্বাচনে যেখানে কংগ্রেসের দখলে ছিল ১২২টি আসন, সেখানে এবার কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৭৪টি। ফলে, স্বভাবতই নেতৃত্বে সনিয়া তনয়াকে নিয়ে আসার দাবি উঠেছে।
এর উপর রাহুলের জন্য অস্বস্তি বাড়িয়েছে একটি সমীক্ষা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, রাহল গান্ধী যে কেন্দ্রগুলিতে প্রচারে গিয়েছিলেন, সেখানেই বিশেষভাবে খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, দলের অন্দরেই একাংশের প্রশ্ন, তবে কি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বকে ভালো চোখে নেননি কংগ্রেস সমর্থকরা? এই পরিস্থিতিতে নতুন করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল শুরু করেছে হাতকর্মীরা।
আরও পড়ুন- কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোট হলে অন্যরকম ফল হত: মমতা
তবে, এখনও পর্যন্ত জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে যুক্ত করার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করেনি প্রিয়াঙ্কা। আমেঠি ও রায় বরেলি ছাড়া আর কোনও কেন্দ্রের প্রচারেও তাঁকে দেখা যায় না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, দেশের ২২টি রাজ্যে ভরাডুবির পর আসন্ন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কার ইমেজকে কাজে লাগিয়েই কি ভোট বৈতরনী পার করে চাইবে কংগ্রস? আর কংগ্রেস চাইলেও মোদী-শাহ সুনামির সামনে ইন্দিরার নাতনি কি দলকে আবারও সাফল্যের সরণিতে নিয়ে আসতে পারবেন?