রাজনৈতিক শত্রুদের মিলিয়ে দিচ্ছেন মোদী! এবার কি হাতে ঝাঁটা?

রাজনৈতিক নীতির ফারাক শিকেয় তুলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস।

Updated By: Jun 2, 2018, 04:51 PM IST
রাজনৈতিক শত্রুদের মিলিয়ে দিচ্ছেন মোদী! এবার কি হাতে ঝাঁটা?

নিজস্ব প্রতিবেদন: সম্ভবনা তৈরি হচ্ছিল দুদিন ধরে। এবার বোধহয় সেটাই সত্যি হতে চলেছে। মোদীর জয়রথ মাটিতে বসাতে হাত মেলাতে চলেছেন যুযুধান আপ ও কংগ্রেস। কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেই উত্থান হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপের। তবে, 'বড় বিপদ' মোদীকে ঠেকাতে, এবার সেই কংগ্রেসের হাতেই হাত রাখতে চলেছেন কেজরিওয়াল।

রাজনৈতিক নীতির ফারাক শিকেয় তুলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস। পথটা অবশ্য প্রথম দেখিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের বুয়া-বাবুয়া। গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে উপনির্বাচনে 'জাতশত্রু' মায়াবতীর সঙ্গে জোট করে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করেছিলেন মুলায়মপুত্র অখিলেশ। এরপর সাম্প্রতিক কালের কৈরানা ও নূরপুর উপনির্বাচনের ফলও দেখিয়ে দিয়েছে, বিজেপি অপ্রতিরোধ্য নয়। অন্যদিকে, কর্ণাটকে জেডিএস-কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়ে বিধানসভা ভোটের আগে বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে জোটের পাকা কথা সেরে ফেলেছে কংগ্রেস। তাহলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালই বা বাদ যান কেন! 

সূত্রের খবর, দিল্লির ৭টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে ২টি ছাড়তে চাইছে আম আদমি পার্টি। তবে তিনটি আসন চাইছে রাহুল গান্ধীর দল। তাদের প্রস্তাব, নয়াদিল্লিতে শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়, চাঁদনিচকে অজয় মাকেন ও পশ্চিম দিল্লিতে রাজকুমার চৌহানকে সমর্থন দিক আপ। তবে ২টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নন কেজরিওয়াল। 

দিন কয়েক আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রশংসা করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইটারে লিখেছিলেন, ''মনমোহন সিংয়ের মতো শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর অভাব বোধ করছেন মানুষ।'' অথচ এই কেজরিওয়ালই ২০১৩ সালে লিখেছিলেন, ''নিজের দল ও সরকারকে দুর্নীতির মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছেন মনমোহন সিং।'' উল্লেখ্য, অন্না হাজারের দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ থেকেই কেজরির রাজনৈতিক জীবন শুরু। কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই গর্জন করেই ওই আন্দোলনের সূত্রপাত। এরপর দিল্লির কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়ে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কেজরিওয়ালই। 'স্বচ্ছ রাজনীতির' আশা জাগিয়েছিলেন। আর সেই তিনিই কি না কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করছেন! এসব দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই অমোঘ কথা, রাজনীতিতে 'চিরস্থায়ী না' বলে কিছু হয় না। 

আরও পড়ুন- নয়ডার 'অভিশাপ' থেকে কি বাঁচতে পারলেন না যোগীও?

.