রাহুল-সোনিয়ার গরহাজিরায় পাশ নারী সুরক্ষা বিল

ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীদের কড়া শাস্তি দিতে সংসদে ভোটাভুটিতে পাশ হল ধর্ষণ বিরোধী আইন। যদিও বরাবরই রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে নারী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। আজকের নিম্নকক্ষে সাংসদের উপস্থিতির হারে তেমনটা মনে হয়নি। এমনকী সরকার পক্ষের প্রথম সারির মন্ত্রীদের অনেকের গরহাজিরি আবারও স্পষ্ট করল, দেশের নারীদের সুরক্ষা মর্যাদা শুধু নির্বাচনী ইস্তেহারেই সীমাবদ্ধ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আজ বিল পাশের সময় সভাকক্ষে ছিলেন না কংগ্রেস সভানেত্রী ও সোনিয়া পুত্র রাহুল।

Updated By: Mar 19, 2013, 09:07 PM IST

ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীদের কড়া শাস্তি দিতে সংসদে ভোটাভুটিতে পাশ হল ধর্ষণ বিরোধী আইন। যদিও বরাবরই রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে নারী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। আজকের নিম্নকক্ষে সাংসদের উপস্থিতির হারে তেমনটা মনে হয়নি। এমনকী সরকার পক্ষের প্রথম সারির মন্ত্রীদের অনেকের গর হাজিরি আবারও স্পষ্ট করল, দেশের নারীদের সুরক্ষা মর্যাদা শুধু নির্বাচনী ইস্তেহারেই সীমাবদ্ধ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আজ বিল পাশের সময় সভাকক্ষে ছিলেন না কংগ্রেস সভানেত্রী ও সোনিয়া পুত্র রাহুল।
প্রথমে আলোচনা, তারপর ভোটাভুটি। শরদ যাদবের বক্তব্যে বিস্ফোরক মন্তব্য, "আমাদের মধ্যে কে মেয়েদের দিকে তাকাইনি?" মহিলাদের নিরাপত্তা বারাতে গিয়ে পুরুষরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পরবেন। যাদবের যুক্তি, এর দলে পুরুষদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসার সম্ভাবনা অনেক বাড়বে। ন্যক্কারজনক ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড ও অন্যান্য ঘটনায় ২০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে নতুন বিলে। এখন থেকে অ্যাসিড ছোঁড়া, উত্যক্ত করা, আপত্তিজনক ভাবে তাকানো, পিছু করার মতো ঘটনাও অপরাধের আওতায় আসবে। তবে অ্যাসিড ছোঁড়ার মতো জঘন্য অপরাধে যাবজ্জীবনের সাজাতে ভোট দেয়নি সাংসদরা।
গতকালই এই বিল নিয়ে পিছু হঠে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সম্মতির ভিত্তিতে সহবাসের বয়সসীমা ১৬ থেকে ফের ১৮ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জামিন অযোগ্য অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় মহিলাদের পিছু নেওয়া ও কুদৃষ্টিতে তাকানো।
গতকাল দু-দফার সর্বদলীয় বৈঠকে মূলত এই দুটি ইস্যুতেই আপত্তি তোলে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিল নিয়ে মহিলা সাংসদদের মধ্যে এখনও কিছুটা অসন্তোষ রয়ে গেছে। বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে যেকোনওরকম ঝুঁকি এড়াতে চাইছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আজ দলের সব সাংসদকে সংসদে উপস্থিত থাকার হুইপ জারি করেছেন তিনি।

.