দলকে লক্ষ্য বেঁধেও সম্ভাব্য মহাজোটের আশঙ্কা তাড়া করছে অমিতকে?
উত্তরপ্রদেশে দলকে ৭৪টি আসনের লক্ষ্য দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি-বহুজন সমাজ পার্টি ও কংগ্রেসের মহাজোট প্রায় পাকা। বিরোধীদের দাবি, এবার গোবলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ৫টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি। বিরোধীরা যখন ৫টি আসনে গেরুয়া শিবিরকে বেঁধে রাখতে চাইছে, তখন দলকে ৭৪টি আসনের লক্ষ্য দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন,''২০১৯ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে জাতপাত ও তোষণের রাজনীতি থেকে মুক্তি পাবে দেশ''। একইসঙ্গে মহাজোট নিয়ে কর্মীদের আশঙ্কা না করতেও পরামর্শ দিয়েছেন শাহ। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তাহলে মহাজোটের চাপ কি টের পাচ্ছেন অমিত শাহ?
দিল্লির গদিতে নরেন্দ্র মোদীকে ফেরাতে গেলে উত্তরপ্রদেশের পথ ধরেই যেতে হবে, তা বিলক্ষণ বোঝেন মোদীর সেনাপতি। এদিন মেরঠে দলের কর্মসমিতির বৈঠকে অমিত শাহ বলেন, ''২০১৯ সালে লোকসভায় বিজেপিকে উড়তে গেলে উত্তরপ্রদেশ থেকে ৭৪টি আসন পাওয়া খুবই দরকার। সে জন্য যোগী আদিত্যনাথ ও নরেন্দ্র মোদীর কাজের প্রচার তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছতে হবে নিচুতলার কর্মীদের''।
অমিত শাহের কথায়, ''২০১৯ সালের রোডম্যাপ তৈরি করবে উত্তরপ্রদেশ। ২০১৯ সালের নির্বাচন জিতলে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পাব। দেশে থেকে পরিবারতন্ত্র, জাতপাত ও তোষণের রাজনীতির অবসান ঘটবে''।
মহাজোট নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কয়েকটি উপনির্বাচনে হারার পর সংশয় আরও সুদৃঢ় হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মীদের আশ্বস্ত করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ''মহাজোট নিয়ে শঙ্কা করবেন না। নির্বাচন আমরা জিতবই। সরকারের ভাল কাজ মানুষের কাছে পৌঁছনোর দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। মতানৈক্য হলে সঠিক জায়গায় বিষয়টি জানান''।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুর, ফুলপুর ও কৈরানার মতো আসনে উপনির্বাচনে বিরোধী জোটের সামনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। যোগীর রাজ্যে সপা-বসপা-কংগ্রেস মহাজোট প্রায় চূড়ান্ত। জোটের কারবারিদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের পাঁচের বেশি আসন পাবে না বিজেপি। কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের সূত্রের খবর, জোট নিয়ে কথা প্রায় পাকা। আর এই জোট প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, জোটে সম্মানজনক আসন পেতে চলেছে দল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মহাজোটের ধাক্কায় বিজেপির আসন কমতে পারে বলে মনে করছে দিল্লি নেতৃত্বও। সেই চাপ টের পাচ্ছেন অমিত শাহও। সে জন্য নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কর্মীদের আশঙ্কার কথা বলে নিজের মনের কথাই কি প্রকাশ করে ফেললেন না মোদীর সেনাপতি? উঠছে সেই প্রশ্নও।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবস থেকে বারাণসীতে গঙ্গায় চলবে এই বিলাসতরী