এয়ারসেল ম্যাক্সিস কেলেঙ্কারির তদন্তে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার নয়: সুপ্রিম কোর্ট

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজেশ্বর সিং কীভাবে তদন্ত করতে পারেন,  এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন জনৈক সাংবাদিক।

Updated By: Jun 27, 2018, 07:56 PM IST
এয়ারসেল ম্যাক্সিস কেলেঙ্কারির তদন্তে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার নয়: সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন: এয়ারসেল-ম্যাক্সিস কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করতে পারেন না দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তদন্তকারী অফিসার। বুধবার এমনটাই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের উপরেই ছেড়েছে আদালত। এয়ারসেল ম্যাক্সিস দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটোরেটের অফিসার রাজেশ্বর সিং। তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার অভিযোগ।

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজেশ্বর সিং কীভাবে তদন্ত করতে পারেন,  এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন জনৈক সাংবাদিক। এব্যাপারে বন্ধ খামে আদালতের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট জমা দেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। শীর্ষ আদালতে তিনি জানিয়েছেন, রাজেশ্বরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে চায় সরকার। এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলায় কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হবে না। তখন সু্প্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, রাজেশ্বর সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। 

গত বছর চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্তের নেতৃত্বে আনা হয় রাজেশ্বর সিংকে। তাঁর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাকারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করেছেন তিনি। শীর্ষ আদালতে তাঁর আবেদন, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগটি ৭ বছরের পুরনো। ইতিমধ্যে সিবিআই ও সেন্ট্রাল ভিজিল কমিশনের কাছ থেকে ক্লিনচিট পেয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের মত, 'আপনি একজন অফিসার। আপনাকে সম্পূর্ণভাবে ক্লিনচিট দেওয়া উচিত নয়। সকলকেই দায়বদ্ধ থাকতে হবে।'   
    
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই জেরার মুখে পড়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। ১০ জুলাই পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে দিল্লি আদালত। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন- স্বচ্ছতার মানদণ্ডে ফেল বাংলা, ২৫টি অপরিচ্ছন্ন শহর পশ্চিমবঙ্গেই, অপরিচ্ছন্নতায় শীর্ষে ভদ্রেশ্বর

২০০৬ সালে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তিতে আইন ভেঙে বিদেশ বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ওই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। তখন ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। অভিযোগ, ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশ বিনিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছিল অর্থমন্ত্রক। তার বদলে ২৬ লক্ষ টাকা কমিশন পেয়েছিল চিদম্বরমের ছেলে কার্তির সংস্থা। উল্লেখ্য, ৬০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিদেশ অর্থ বিনিয়োগের সম্মতি দিতে পারে অর্থমন্ত্রক। তার অতিরিক্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আর্থিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার অনুমোদন দরকার।

আরও পড়ুন- নীরবের হদিশ পেতে তিনটি দেশকে চিঠি বিদেশমন্ত্রকের: সূত্র

.