মমতাকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিল্লি এইমসের চিকিত্সকদের

শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে চিকত্সকদের সমস্যার সমাধান করার ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন

Updated By: Jun 15, 2019, 11:46 AM IST
মমতাকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিল্লি এইমসের চিকিত্সকদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ চাপ বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের চিকিত্সকদের দাবি মেনে না নিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের হুমকি দিলেন এইমস-এর চিকিত্সকরা।

এইমসের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের(আরডিএ) পক্ষ থেকে সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের চিকিত্সকদের দাবি আগামী ৪৮ ঘ্টা মধ্যে মেনে নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তা না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাবেন চিকিত্সকরা।

আরও পড়ুন-বোমা-গুলির লড়াইয়ে তুলকালাম ডোমকল, খুন তৃণমূল নেতার ছেলে-দাদা

এদিকে, রাজ্যে চিকিত্সকদের সমস্যা মেটাতে শনিবার আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের ৫ প্রবীণ চিকিত্সক। তার পরই জুনিয়র ডাক্তারদের নবান্নে আসার অনুরোধ জানান তাঁরা। তবে সেই বৈঠক এখন হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

জুনিয়র ডাক্তারদের মুখপাত্র ডা অরিন্দম দত্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তার জন্য তাঁকে শর্তহীনভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি এনআরএস-এ এসে আন্দোলনরত চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে তাঁকে।

অন্যদিকে, শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে চিকত্সকদের সমস্যার সমাধান করার ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।

আরও পড়ুন-হাসপাতাল থেকে চুরি গেল পাঁচ দিনের শিশু! উদ্ধার ৭ ঘণ্টায়

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতাকে লিখেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করুন। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সকদের নিগ্রহের প্রতিবাদে গোটা দেশেই হাসাপাতালে কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এমতাবস্থায় গোটা বিষয়টিকে মানবিক দিকে থেকে বিচার করে চিকত্সকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এই সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে।

হর্ষ বর্ধন আরও লিখেছেন, আপনি নিশ্চয় একমত হবেন গোটা দুনিয়ায় আমাদের চিকিত্সকদের সুনাম রয়েছে। বিপুল সংস্যক রোগীদের সামাল দিয়ে সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যেই তাঁরা কাজ করেন। আমাদের কর্তব্য তাদের নিরাপত্তা ও চিকিত্সার পরিবেশ দেওয়া। পাশাপাশি চিকিত্সকদের ওপরে যারা হামলা করেছে তাদেরও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা।

.