Padyatra Politics: পদযাত্রা রাজনীতিতে নতুন জোয়ার, নয়া দাবিতে এবার রাস্তায় Tejashwi Yadav
গত বছর, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। এই দলের দাবি ছিল বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সাম্প্রতিক পদযাত্রার ঘোষণার পরে এবার আবার পদযাত্রা বিহারে। এবার আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন তিনিও একটি "পদযাত্রা" করতে পারেন। পাটনা থেকে দিল্লি পর্যন্ত এই পদযাত্রার মূল কারণ বিহার এবং দেশে জাতি-ভিত্তিক জনগণনা।
এর আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ঘোষণা করেন তিনি ২০২২ সালে ২ অক্টোবর চম্পারণের গান্ধি আশ্রম থেকে ৩০০০ কিলোমিটার লম্বা একটি পদযাত্রা শুরু করবেন।
তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনার জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। আরজেডি এবং লালু প্রসাদ যাদবের প্রচেষ্টায়, বিহার বিধানসভা এবং বিহার বিধানসভা পরিষদে জাতিভিত্তিক জনগণনা পরিচালনার জন্য একটি প্রস্তাব দুবার পাস হয়। তিনি আরও বলেন তাদের উদ্যোগের পরে, বিহারের অন্যান্য সব দলের নেতারাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তেজস্বীর দাবি এখন, তিনি জাতিভিত্তিক জনগণনার জন্য পাটনা থেকে দিল্লি পর্যন্ত একটি পদযাত্রা ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ দেখতে পাচ্ছেন না।
তাঁর পদযাত্রার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে অনেকেই মনে করছেন যে আগামি লোকসভা এবং বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরকে সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বলে মনে করছেন তেজস্বী।
এরআগে মে মাসের ৫ তারিখে নতুন দল গঠনের খবর উড়িয়ে দেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর বক্তব্যে আভাস পাওয়া যায় যে জন সুরজের আগামিদিনে রাজনৈতিক দলের চেহারা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ বছরে ভয়ঙ্কর বদল আসছে আবহাওয়ায়, চরম সতর্কবার্তা দিল WMO
গত বছর, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। এই দলের দাবি ছিল বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন জেডি(ইউ), বিজেপি, এইচএএম-এস, ভিআইপি দলের প্রতিনিধিরা। এর পাশাপাশি কংগ্রেস, সিপিআই (এমএল) এবং এআইএমআইএম-ও ছিল এই দলে।
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও এই প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন। সেই সময় তিনি বলেন যে এই ধরনের জনগণনা দরিদ্রদের সাহায্য করবে এবং দেশের স্বার্থরক্ষায় সাহায্য করবে।