অধিবেশনের গুটি সাজাতে মরিয়া কংগ্রেস

মুলায়ম, মায়াবতীর পর এবার বিজেপি নেতাদের নৈশভোজে ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের আগে এখন ঘর গুছোতে উদ্যোগী কংগ্রেস। গতকাল ইউপিএর শরিকদের নৈশভোজে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নৈশভোজে শরিকরা সকলেই সামিল হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে কংগ্রেস। তবে বাম ও বিজেপি যেভাবে এফডিআই ইস্যুতে বিরোধিতায় অনড় তাতে শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের কাজ চালানো কতটা সহজ হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

Updated By: Nov 17, 2012, 09:09 AM IST

মুলায়ম, মায়াবতীর পর এবার বিজেপি নেতাদের নৈশভোজে ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের আগে এখন ঘর গুছোতে উদ্যোগী কংগ্রেস। গতকাল ইউপিএর শরিকদের নৈশভোজে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নৈশভোজে শরিকরা সকলেই সামিল হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে কংগ্রেস। তবে বাম ও বিজেপি যেভাবে এফডিআই ইস্যুতে বিরোধিতায় অনড় তাতে শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের কাজ চালানো কতটা সহজ হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ফলে বিজেপি নেতাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল।
এফডিআই নিয়ে সরকারের বিরোধিতায় এক সুর বিরোধী শিবিরের। বামেরা ইতিমধ্যেই এফডিআই নিয়ে সংসদে প্রস্তাব আনার জন্য নোটিস দিয়েছে। বামেদের প্রস্তাবে ভোটাভুটি অনিবার্য। এফডিআইয়ের বিরোধিতায় অনড় বিজেপিও। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে তাই বিরোধীদের আস্থা তর্জনে মরিয়া প্রচেষ্ঠা ইউপিএর। শুক্রবার ইউপিএর শরিকদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। নৈশভোজের আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং চিদম্বরম ও অ্যান্টনির সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। দিনভর উদ্বেগ বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য ডিএমকের তরফে নৈশভোজে যোগ দেন  টি আর বালু। সূত্রের খবর, এফডিআই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেও, সরকার বিপদে পড়তে পারে এমন কোনও পদক্ষেপে তারা থাকবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ডিএএমকে। শরিকরা কংগ্রেস নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করলেও, বিরোধী বিক্ষোভে সংসদের কাজ ফের থমকে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
 
মুলায়ম সিং, মায়াবতীর পর তাই এবার প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতাদেরও নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই নৈশভোজ নিয়ে জল্পনায় সরগরম জাতীয় রাজনীতি। কারণ আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে এফডিআই, মূল্যবৃদ্ধি, ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া এবং দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করতে প্রস্তুত বিজেপি। শীতকালীন অধিবেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করিয়ে নেওয়ার জন্য বিজেপিকে পাশে চায় সরকার। ফলে বিজেপি নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই নৈশভোজ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
 
যদিও এখনও পর্যন্ত বিজেপির যা অবস্থান, তাতে স্পষ্ট আসন্ন অধিবেশন ইউপিএ-র কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে। পাশাপাশি বাম ও বিজেপি, দুপক্ষই এফডিআই নিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নৈশভোজ বরফ গলাতে সাহায্য করে কিনা, সেটাই দেখার।

.