সরছেন Adhir! লোকসভায় Congress-এর দলনেতার পদে একাধিক নাম ঘিরে গুঞ্জন
বুধবার হাইকমান্ডের সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন বাদল অধিবেশনেই লোকসভায় পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে অধীর চৌধুরীকে। বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, ইতিমধ্যে সংসদের নিম্নকক্ষে পরিষদীয় দলনেতার খোঁজ শুরু করেছে কংগ্রেস হাই কমান্ড। আর অধীরের ছেড়ে যাওয়া পদে বসার জন্য ইতিমধ্যে উঠে আসছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নাম।
জানা গিয়েছে, আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার অধীর চৌধুরীর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূ্র্ণ বৈঠক করতে চলেছেন সোনীয়া গান্ধী। সম্ভবত ভার্চুয়ালি হবে সেই বৈঠক। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশনের আগে সেই বৈঠককে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। উনিশের লোকসভা ভোটে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পর কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের একাংশের মধ্য়েও একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়। গত বছর যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কংগ্রেস হাই কমান্ডকে লিখিত আকারে সেই ক্ষোভের কথা জানান বিক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, সেই সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতার মধ্যেই কাউকে হয়ত লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ হিসেবে বেছে নিতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। যদিও আগেই এই দৌড় থেকে নাম তুলে নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি চর্চায় রয়েছে দুটো নাম। প্রথম জন শশী থারুর এবং দ্বিতীয়জন মণীশ তিওয়ারি। এছাড়া গৌরব গগোই, রভনীত সিং বিট্টু এবং উত্তম কুমার রেড্ডির নাম নিয়েও জল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী; ধর্মীয় জমায়েতগুলি হতে পারে সুপার স্প্রেডার, হুঁশিয়ারি IMA-র
আরও পড়ুন: 'দলের ক্ষতি করছেন', 'বেসুরো' বাবুল-সৌমিত্রর নামে Nadda-কে নালিশ Dilip-এর
এদের মধ্যে শশী থারুর ও মণীশ তিওয়ারি, সেই সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে পড়েন, যাঁরা হাই কমান্ডকে বিস্ফোরক চিঠি লিখেছিলেন। দলীয় সংগঠনে বড় ধনের রদবদলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তাঁরা। তবে যিনিই হবেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা, তাঁকে বেছে নেবেন হাই কমান্ড খোদ। অধীরকে ওই পদ থেকে সরানোর কারণ নিয়ে নানান মহলে, শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। একাংশের মতে, একুশের বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলাফলের কারণেই দলনেতার পদ থেকে সরানো হতে পারে বহরমপুরের সাংসদকে। আবার অন্য অংশের বক্তব্য, কংগ্রেসেও এবার এক ব্যক্তি এক পদ নীতি শুরু হতে পারে। সেজন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে থাকা অধীরকে লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরাতে পারে হাই কমান্ড।