Hindenburg vs Adani: আদানির শেয়ারে বড় মাপের ধস! এদিকে বিশ্ব জুড়ে উঠল মাধবীর পদত্যাগের দাবি ...

Adani Hindenburg SEBI Chairperson Row: হিন্ডেনবার্গের অভিযোগের জেরে আদানির স্টকের দাম এক ধাক্কায় পড়ল অনেকটা। এদিকে সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের পদত্যাগের দাবি উঠল বিশ্ব জুড়ে।

Updated By: Aug 12, 2024, 05:29 PM IST
Hindenburg vs Adani: আদানির শেয়ারে বড় মাপের ধস! এদিকে বিশ্ব জুড়ে উঠল মাধবীর পদত্যাগের দাবি ...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিন্ডেনবার্গের অভিযোগের জেরে আদানির স্টকের দাম এক ধাক্কায় পড়ল অনেকটা। এদিকে সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের পদত্যাগের দাবি উঠল বিশ্ব জুড়ে।

আরও পড়ুন: Peacock Curry: 'পিকক কারি'? ভ্লগ আমার নাচে রে আজিকে, ময়ূরের মতো নাচে রে...

দেখতে গেলে মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি নিয়ে অভিযোগ জানাল। এবারের অভিযোগে তারা বলে, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে সরানো টাকায় অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া' তথা 'সেবি' প্রধানের! হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই তাই আলোড়ন উঠেছে। অবশ্য হিন্ডেনবার্গের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। তাঁরা দাবি করেন, যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এসব তাঁদের চরিত্রহনন করার জন্যই করা হচ্ছে। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে স্বশাসিত সেবি-র নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েই উঠে গেল প্রশ্ন!

অভিযোগ যা-ই হোক আর ঘটনার সত্যতা যা-ই হোক, আপাতত এসব বিবাদ-বিসম্বাদের জেরে আদানির শেয়ারে নামল বড় ধরনের ধস। এক ধাক্কায় অনেকটা দাম কমল 'আদানি এনার্জি সলিউশন', 'আদানি উইলমার' এবং 'আদানি টোটাল গ্যাস'-এর শেয়ারদর।  

ঠিক কী অভিযোগ তুলেছে হিন্ডেনবার্গ?

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বলেছে, সেবির বর্তমান চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচের আদানির অফশোর কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে। এর আগে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারের দর ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগও তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। আবার এরাই এই মর্মে পোস্ট করে যে, আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবি প্রধানের! হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের দাবি, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারি রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর।

আর এই অভিযোগ ওঠায় এখন মাধবীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। গ্লোবাল ইনভেসটররা এখন মাধবীর পদত্যাগ চাইছেন।

গত বছর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছিল, আদানি কী ভাবে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে ভুয়ো কোম্পানি খুলে টাকা সরিয়েছে! সেই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সেবি-র উপরেই। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ ছিল। হিন্ডেনবার্গ আসলে বোঝাতে চেয়েছে, সর্ষের মধ্যেই ভূত! যাঁর উপর তদন্তভার, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে তলে তলে তাঁরই আঁতাত! হিন্ডেনবার্গ বলেছে, তাদের রিপোর্ট প্রকাশের পর ১৮ মাস কেটে গিয়েছে, অথচ আদানির ব্যাপারে সেবি বিস্ময়কর ভাবে নিশ্চুপ!

হিন্ডেনবার্গের দাবি, মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামী মরিশাস ও বারমুডার এমন সব ভুয়ো বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন যেগুলির সঙ্গে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। এই সব বিনিয়োগ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। তার পর ২০১৭ সালে সেবির পূর্ণ সময়ের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয় মাধবী বুচকে। ওই রিপোর্টের দাবি, সেই সময়েই নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নিয়েছিলেন ধবল।

আরও পড়ুন: R G Kar Incident: কে, কোথায় বিশ্রামে? রেইকি করেই ধর্ষণের 'টার্গেট' স্থির করে সঞ্জয়?

সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বুচ দম্পতির তরফে বলা হয়েছে, যাবতীয় আর্থিক তথ্য তাঁরা প্রকাশ্যে আনতে পারেন। এ বিষয়ে তাঁদের কোনও রাখঢাক নেই। এমনকি তাঁরা যখন কোনও সরকারি পদে ছিলেন না, চাইলে তখনকার তথ্যও কেউ খতিয়ে দেখতে পারে! শুধু তাই নয়, পূর্ণাঙ্গ স্বচ্ছতার স্বার্থে খুব শীঘ্রই তাঁরা একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করবেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.