Abhishek Banerjee On Agniveer: অবসর নিয়ে অগ্নিবীর নাপিত-দারোয়ান হবে! এমন মন্তব্যকারী নেতাদের দল থেকে তাড়ানো উচিত: অভিষেক
অভিষেক আরও বলেন, বিজেপি ক্ষমতার আসার পর একটা প্রতিশ্রুতিও পালন করেনি। রাস্তাঘাট নেই, এক ঘণ্টার বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত জল জমে যায়। কই কলকতায় তো এরকম হয় না। আর হিংসা তো আছেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় উপ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে এক হাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, অগ্নিবীররা অবসর নিলে বিজেপি অফিসের সিকিউরিটি গার্ড হবে। অর্থাত্ বিজেপি নেতার ছেলে হবে বিসিসিআইয়ের সচিব। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে এমএলএ হয়ে আমলাদের মেরে বেড়াবে। আর অগ্নিবীররা দেশের সেবা করে দারোয়ান হবে? এর থেকে লজ্জার আর কিছুই হতে পারে না।
এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, অগ্নিবীররা নাপিত হবে, ইলেকট্রিশিয়ান হবে, প্লাম্বার হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ধিক্কার জানাই। এই ধরণের মন্তব্যকারীদের দল থেকে তাড়ানো উচিত। আপনারাতো বালোকোটকে সামনে রেখে ভোট করিয়েছিলেন। এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না। অগ্নিবীর নিয়ে বিজেপি উদ্দেশ্যে এটাই। কৈলাস বলে ফেলেছেনে। যারা নিজের সেনা নিয়ে এরকম মন্তব্য করে তাদের দল থেকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করা উচিত। অগ্নিপথের বিরোধিতা করে যারা প্রতিবাদ করেছেন তাদের সমর্থন করছি। কিন্তু দেখতে হবে এর জন্য দেশে যেন কোনও নৈরাজ্যের সৃষ্টি না হয়।
এদিন অভিষেক আরও বলেন, বিজেপি ক্ষমতার আসার পর একটা প্রতিশ্রুতিও পালন করেনি। রাস্তাঘাট নেই, এক ঘণ্টার বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত জল জমে যায়। কই কলকতায় তো এরকম হয় না? আর হিংসা তো আছেই। এতকিছুর মধ্যেও আমরা মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছি। কথা দিচ্ছি আমরা আপানাদের ছেড়ে যাব না। আপনারা যদি রুখে না দাঁড়ান তাহলে এই সন্ত্রাস চলতেই থাকবে। অনেক আশা নিয়ে আপনারা ২০১৮ সালে শাসক বদল করেছিলেন। আপনারা ভেবেছিলেন কেন্দ্র-রাজ্য ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে রাজ্যের উন্নতি দ্রুত হবে। কিন্তু দেখুন বিজেপি তার দেওয়া একটা প্রতিশ্রুতিও পালন করেনি। বলেছিল ৫০ হাজার যুবক-যুবতীকে চাকরি দেব। হয়েছে? সব জুমলা। উল্টে ১০,৩০০ শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল। যিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি একজন ডাক্তার, বরদৌলি থেকে যিনি লড়ছেন তিনিও একজন ডাক্তার। তাহলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই হাল কেন? স্মার্ট সিটির ২৪৫ কোটি টাকা কোথায় গেল? ত্রিপুরায় বেকারত্বের হার ১৮ শতাংশ, বাংলায় এই হার ৪ শতাংশ। উত্তরপূর্ব ভারতে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক সন্ত্রাসে ত্রিপুরা এক নম্বরে। এই ডবল ইঞ্জিন সরকারের নমুনা! এই পরিবেশ থাকলে ত্রিপুরায় বিনিয়োগ আসবে না। এই পরিস্থিতি বদল করতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। এই লড়াইটা বিজেপি বনাম ত্রিপুরার মানুষের লড়াই।
আরও পড়ুন-'পয়গম্বর বিতর্ক'! সময় চেয়ে নারকেলডাঙা থানায় ই-মেল নূপুর শর্মার