বাড়িতেই তৈরি হচ্ছিল বোমা, বিহারের ভাগলপুরে হঠাৎ বিস্ফোরণে নিহত ৯
ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পরীক্ষা করার পরে আরও বিশদে ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিহারের (Bihar) ভাগলপুরে (Bhagalpur) বোমা বিস্ফোরণে শিশুসহ এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাগলপুরের তাতারপুর থানা এলাকার কাজভালিচকের (Kajvalichak) একটি বাড়ির ভিতরে বিস্ফোরণটি ঘটে, যার ফলে পুরো শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে বাড়িটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে এবং মাটিতে মিশে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের তিনটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। একই সঙ্গে আশেপাশের অনেক বাড়ির দেয়ালেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ থেকে ৩০০ মিটার দূরে ভাঙা বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এই সময় পাশের বাড়িতে ঘুমন্ত লোকজনও গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: Fourth wave: করোনার চতুর্থ ঢেউ কি মারাত্মক হতে চলেছে? কী বলছে গবেষণা?
এই বিস্ফোরণে প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কেঁপে ওঠে এবং চার কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিস্ফোরণের প্রতিধ্বনি শোনা যায়। ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেককে উদ্ধার করলেও পুলিস কয়েক ঘণ্টার পরিশ্রমের পর জেসিবির সাহায্যে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেয়।
ভাগলপুরের ডিএম সুব্রত কুমার সেন বলেন, যে বাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেখানে আতশবাজি তৈরি করা হত। বিস্ফোরণের আসল কারণ কী সেটা তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। একই সময়ে, প্রতিবেশীরা এবং আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন যে আতশবাজি তৈরির আড়ালে ওই বাড়িতে বোমা তৈরি করা হয়েছিল।
ভাগলপুর বোমা বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার কাজ চলছে। আরও অনেক মানুষের চাপা পড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।