সরকারি হাসপাতালের গাফিলতি! অন্তঃসত্ত্বাকে দেওয়া হল এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত

গত ৩ ডিসেম্বর ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে যে তরুণের রক্ত দেওয়া হয়, সেই রক্তে কোনও নেতিবাচক রিপোর্ট মেলিনি বলে প্রাথমিকভাবে দাবি ছিল হাসপাতালের ল্যাবরেটরির কর্মীদের। 

Updated By: Dec 26, 2018, 01:18 PM IST
 সরকারি হাসপাতালের গাফিলতি! অন্তঃসত্ত্বাকে দেওয়া হল এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৪ বছর বয়সি এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তামিলনাড়ুর এক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চেন্নাইয়ের বিরুধুনগর জেলার ওই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে রক্ত পরীক্ষায় চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে ওই মহিলার পরিবার। যদিও, তাদের গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন- ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসের নিরক্ষর মন্ত্রীর হয়ে শপথবাক্য পাঠ রাজ্যপালের

গত ৩ ডিসেম্বর ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে যে তরুণের রক্ত দেওয়া হয়, সেই রক্তে কোনও নেতিবাচক রিপোর্ট মেলিনি বলে প্রাথমিকভাবে দাবি ছিল হাসপাতালের ল্যাবরেটরির কর্মীদের। কিন্তু এর পরেই বিদেশে কাজে যাওয়ার জন্য বেসরকারি প্যাথোলজি ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করান ওই তরুণ। সেই রিপোর্টে মেলে এইচআইভি পজিটিভ। তত্ক্ষণাত্ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে সতর্ক করেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার শরীরে ওই তরুণের এইচআইভি সংক্রামিত রক্ত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে ৩ টেকনিশিয়ানকে।

তবে, এই প্রথম নয়, ওই তরুণের রক্ত পরীক্ষায় গাফিলতির সূত্রপাত হয় ২ বছর আগে। তদন্ত করে জানা গিয়েছে, সে সময় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে ওই তরুণ রক্তদান করলে, তাঁর রক্তে এইচআইভি পজিটিভ মেলে। অভিযোগ ওঠে, সে সময় ওই রিপোর্ট তরুণকে যেমন জানানো হয়নি, তেমনই ওই রক্তের তথ্যও মুছে ফেলা হয়েছে। সে সময় এইচআইভি পজিটিভ জানতে পারলে, ওই তরুণের দ্রুত চিকিত্সা শুরু করা যেত বলে মত চিকিত্সকদের। এমনকী সঙ্কটে পড়ত না অন্তঃসত্ত্বা মহিলার জীবনও।

আরও পড়ুন- আইএসের নতুন মডিউলের খোঁজে ১৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযানে NIA, গ্রেফতার পাঁচ

চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলার অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল চিকিত্সা শুরু করা হয়েছে, যাতে প্রথম ধাপেই সংক্রমণের প্রতিরোধ করা যায়। তবে, গর্ভস্থ সন্তানও সংক্রামিত কি না ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারছেন না চিকিত্সকরা। সরকারের তরফে স্বামী ও স্ত্রীর চাকরি এবং চিকিত্সার ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যদিও আর সরকারি হাসপাতালের উপর ভরসা রাখেনি ওই মহিলার পরিবার। তাঁরা জানিয়েছেন, পরবর্তী চিকিত্সা বেসরকারি হাসপাতালেই করানো হবে।

.