‘কংগ্রেস’ বিধায়করা মন্ত্রিত্ব পেলেন বিজেপি শাসিত গোয়ায়, ক্ষুব্ধ দলের একাংশ

বিজেপিতে কংগ্রেস বিধায়করা যোগ দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ দলের একাংশ। বিজেপি কর্মী প্রণব সনভর দারকার ইস্তফা দিয়ে তাঁর আক্ষেপের কথা জানান। বলেন, কংগ্রেসের বিধায়কদের এভাবে সাদরে আমন্ত্রণ করায় মর্মাহত।

Updated By: Jul 13, 2019, 05:00 PM IST
‘কংগ্রেস’ বিধায়করা মন্ত্রিত্ব পেলেন বিজেপি শাসিত গোয়ায়, ক্ষুব্ধ দলের একাংশ
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্নাটকের সঙ্কটের মাঝে উচাটন দেখা গেল বিজেপি শাসিত গোয়া সরকারে। চলতি সপ্তাহে ১০ কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। আজ প্রমোদ সাওন্তের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন ৪ কংগ্রেস বিধায়ক। শরিক দল গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি তো বটেই দলের অন্দরে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে বিজেপির।

জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকরকে ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। পাশাপাশি, মন্ত্রী হিসাবে শপথ পাঠ করবেন জেনিফার মনসেরাত, ফিলিপ ন্যারি রড্রিগজ। অন্য দিকে শরিক দল গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ৩ বিধায়ককে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি তাঁদের ইস্তফার দাবি জানালেও, তাঁরা বেঁকে বসেন। বিধায়কদের দাবি তাঁদের বহিষ্কার না করা পর্যন্ত ইস্তফা দেবেন না। এক নির্দল নেতা রোহন খাওন্তেও জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসেন।

বিজেপিতে কংগ্রেস বিধায়করা যোগ দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ দলের একাংশ। বিজেপি কর্মী প্রণব সনভর দারকার ইস্তফা দিয়ে তাঁর আক্ষেপের কথা জানান। বলেন, কংগ্রেসের বিধায়কদের এভাবে সাদরে আমন্ত্রণ করায় মর্মাহত। তাঁদেরকে মন্ত্রিত্বও দেওয়া হচ্ছে দেখে অবাক।

আরও পড়ুন- লাদাখের ডেমচক সেক্টরে কোনও চিনা অনুপ্রবেশ ঘটেনি, সাফ জানালেন সেনাপ্রধান

উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ১০ বিধায়ক বিজেপিতে আসায় তাদের জমি আরও পোক্ত হল। ৪০ আসনের গোয়ায় তাদের এখন আসন সংখ্যা হল ২৭। ২০১৭ সালে কংগ্রেস ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দল, আজ সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫টিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর আগে গোয়া সরকারের টালমাটাল পরিস্থিতি ছিল। শরিকরা মনোহর পর্রীকরকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে অফিসে আসতে পারছিলেন না পর্রীকর। তাঁর বদলে অন্য কোনও নেতৃত্বে প্রশাসন চালানো অপছন্দ ছিল শরিক দলের। এমতাবস্থায় বিজেপি সভাপতির হস্তক্ষেপে অসুস্থ মনোহর পর্রীকরকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে রাখা হয়। শেষ দিন পর্যন্ত পর্রীকরই ছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শরিকদের ক্রমশ চাপ তৈরি হচ্ছিল।

কংগ্রেসের ১০ বিধায়ক যোগ দেওয়ায় কার্যত সরকার ভেঙে পড়া আশঙ্কা দূর হল। এ বার কর্নাটকে একই ফরমুলায় ক্ষমতা দখলে এগোতে চাইছে গেরুয়া শিবির।  

.