তিন বছরে ২৪২টি গন্ডার বেড়েছে কাজিরাঙায়
ফি বছরের বন্যা আর চোরাশিকারিদের উপদ্রব সত্ত্বেও অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালের সুমারিতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের এই বিশ্বখ্যাত অরণ্যে ২০৪৮টি ভারতীয় একশৃঙ্গ গন্ডারের সন্ধান মিলেছিল। তিন বছরের মধ্যে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯০ তে।
ফি বছরের বন্যা আর চোরাশিকারিদের উপদ্রব সত্ত্বেও অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালের সুমারিতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের এই বিশ্বখ্যাত অরণ্যে ২০৪৮টি ভারতীয় একশৃঙ্গ গন্ডারের সন্ধান মিলেছিল। তিন বছরের মধ্যে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯০ তে।
গোলাঘাট এবং নওগাঁ জেলার ৪৩০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ইউনেস্কো`র `ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট`-এর তকমা পাওয়া এই জঙ্গলের সুসংবদ্ধ বাস্তুতন্ত্রই গন্ডারের সংখ্যাবৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৬৪ সালে প্রথম সুমারির সময় কাজিরাঙ্গায় শ`তিনেক গন্ডারের সন্ধান মিলেছিল। চলতি বছরের সপ্তাহব্যাপী দশম গন্ডার সুমারিতে বন দফতরের প্রায় আড়াইশো কর্মী ও ৫০টি হাতি অংশ নিয়েছিল। ছিলেন, বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরাও। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের `ফিল্ড ডিরেক্টর` সঞ্জীব বরুয়া জানিয়েছেন, ২২০৯টি গন্ডারের মধ্যে ৫০৯টি মা ও সমসংখ্যক শিশু রয়েছে। যা কাজিরাঙার জঙ্গলের `সুস্বাস্থ্যের` লক্ষণ। অন্যদিকে অসমের বনমন্ত্রী রাকিবুল হোসেন জানিয়েছেন, বন দফতরের অফিসার-কর্মী এবং জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের সহযোগিতাতেই গন্ডার সংরক্ষণে এই আশাতীত সাফল্য মিলেছে।