খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পাক বিজ্ঞানীর জামিন সুপ্রিম কোর্টে

আসিফ আলি জারদারির সফরের পরদিনই আজমের থেকে ইতিবাচক বার্তা গেল ইসলামাবাদে। একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পাকিস্তানি মাইক্রোবায়োলজিস্ট মহম্মদ খলিল চিস্তির জামিনের আবেদন সোমবার মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

Updated By: Apr 9, 2012, 04:56 PM IST

আসিফ আলি জারদারির সফরের পরদিনই আজমের থেকে ইতিবাচক বার্তা গেল ইসলামাবাদে। একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পাকিস্তানি মাইক্রোবায়োলজিস্ট মহম্মদ খলিল চিস্তির জামিনের আবেদন সোমবার মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি পি সতশিবম এবং বিচারপতি জি চেলামেশ্বরকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ ১৯৯২ সাল থেকে রাজস্থানের আজমের জেলে বন্দি ৮০ বছরের মহম্মদ খলিল চিস্তিকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার জন্য খলিল চিস্তির আবেদনও বিবেচনার জন্য গ্রহম করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আজমেরের বিশ্বখ্যাত খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তির দরগার তত্ত্বাবধায়ক পরিবারের সদস্য খলিল দেশভাগের পর পাকিস্তানেই থেকে গিয়েছিলেন। অনুজীববিদ্যা এবং ভাইরাস সংক্রান্ত বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর পাকিস্তানে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। অবসর গ্রহণের পর ১৯৯২ সালে অসুস্থ মা এবং পিতৃপুরুষের ভিটে দেখতে আজমের আসেন তিনি। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই একটি খুনের ঘটনার অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিস। ১৮ বছরের দীর্ঘ বিচারপর্বের পর ২০১১-র ৩১ জানুয়ারি আজমেরের জেলা আদালত খলিলকে দোষী সাব্যস্ত যাবজ্জীবন জেলের সাজা দেয়। তিনি জামিনের আবেদন জানালেও রাজস্থান হাইকোর্টে তা নাকচ হয়ে যায়।
রবিবার একদিনের ভারত সফরে এসে আজমেরের মৈনুদ্দিন চিস্তির দরগায় যান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। এরপর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে জারদারি মানবতার কারণে দু`দশক ধরে জেলবন্দি খলিল চিস্তির মুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করেন। এর পরই খলিল চিস্তির জামিনের দাবির বিরোধিতা না করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

.