স্বামীজি বলেছেন, যাঁর নিজের ওপর ভরসা নেই সেই নাস্তিক: মোদী
"রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র এখনও রয়েছে। যা একেবারে প্রযোজ্য নয়। কী পাবেন তা না ভেবে, কী কাজ করবেন সেই লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতিতে আসুক নতুন প্রজন্ম। তা না হলে লোকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যাবে। রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে যুবদের"।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda Birthday) ১৫৮ তম জন্মতিথিতে ন্যাশনাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট (National youth parliament 2021) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেন তিনি। যেখানে নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানান প্রতিটি শব্দে। পাশাপাশি বিবেকানন্দের জন্মতিথিকে মাধ্যম করে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "ব্যক্তি নির্মাণে জোর দেয় নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি"।
তিনি বলেন, "প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যক্তি গড়েছেন স্বামীজি (Swami Vivekananda Birthday)। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রেরণা জাগিয়ে আসছেন স্বামীজি"। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাস রাখেন তা খুবই স্পষ্ট। এদিন তিনি বলেন, " স্বামীজি নাস্তিক সে, যে নিজের প্রতি ভরসা রাখে না"।
তিনি আরও বলেন, "উন্নত প্রতিষ্ঠান দেশের উন্নত চিন্তাধারার জন্ম দেয়। স্বামীজির দর্শন দেশকে প্রেরণা জোগায়। আমরা আধার ভারতকে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ পাচ্ছি। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হবে"।
এই প্রসঙ্গে, তিনি বারবার করে নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "রাজনীতি দেশের শাসক বদলের মাধ্যম। রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের প্রয়োজন। কারণ, তাহলেই সেখানে আসবে নতুন ধারণা। আগে রাজনীতিতে আসা মানেই সন্তান খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে ধরা হত। কিন্তু সেই ধারণা বদলাতে হবে। বদলে গিয়েছেও। এখন নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে। যুবরাজই দেশকে নেতৃত্ব দেবে। জন প্রতিনিধিও জানেন রাজনীতিতে দাঁড়াতে গেলে 'সিভি স্ট্রং' হতে হবে। সে কী কী কাজ করেছে তা দেখবে সাধারণ মানুষ"।
এদিন তিনি আরও বলেন, "রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র এখনও রয়েছে। যা একেবারে প্রযোজ্য নয়। কী পাবেন তা না ভেবে, কী কাজ করবেন সেই লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতিতে আসুক নতুন প্রজন্ম। তা না হলে লোকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যাবে। রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে যুবদের"।
ভাষণের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০০১ সালের গুজরাটের (Gujrat) ভুমিকম্প এবং সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস টেনে আনেন। তিনি বলেন, " ২০০১ সালে গুজরাটের কচ্ছে ভুমিকম্প হয়। তখন কয়েক সেকেন্ডে তোলপাড় হয়ে যায় গোটা জেলা। মৃত্যুর চাদরে ঢেকে যায় মাটি। চারিদিকে শুধুই ধ্বংসাবশেষ। ছিল না আলো, ছিল না জল। থাকার জায়গাও ছিল না। সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম আমি। তখন বার বার করে শুনতে হয়- 'আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য'। কোনও কিছুই ভালো হচ্ছে না। কিন্তু আমি আমার কাজ ও লক্ষ্যে স্থির ছিলাম। তখন শপথ নিই, গুজরাটের কচ্ছকে এমন তৈরি করব যা ভাবনার বাইরে। আজ সেখানে পর্যটক পৌঁছেছে, সে সময় জল পৌঁছেছে পাইপ লাইনে। সব সুযোগ সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে"।