চোখের বাহিরে
প্রভা মজুমদার
এলোচুলে আজ শ্যামলা বালিকা,
গেঁথেছে বসিয়া বকুল মালিকা।
আসবে সে আজ্ অরুণপ্রাতে,
অপেক্ষা তাই ১লা বৈশাখেতে।
এলেও বুঝি -অনুভবে,
ভোরের রোদ্দুর গায়ে মেখে সে বলল 'আমি এসেছি অপেক্ষার শেষ প্রহরে'। একটুখানি স্পর্শেই তপতী বুঝে নিল- যার অপেক্ষায় ছিল 'সে' ই। দুজনে পাশাপাশি বসল, চোখের ইশারা, শরীরী ভাষা তারা বোঝে না, বোঝে শুধুই স্পর্শেই শিহরণ আর অনুভবের অনুভূতি। তপতী এখন অভিমানী, বললো 'সেই এলে বছরভর অপেক্ষার পর''!
একটু না হয় দেরিই হল, এলাম তো-'আজ তুমি বুঝি খুব সুন্দর' অরুণ বলে ,'আমার দেওয়া শাড়িটা পরেছ? কে পরিয়ে দিল? আর চুলটা- আলগা না খোঁপা? শাড়িটা মা পরিয়ে দিয়েছে, খোলা চুলের সুগন্ধ তোমার পছন্দ তাই...
কাজল, লিপস্টিক? যেদিন তুমি আমার চোখে হাত বুলিয়ে বলেছিলে 'তোমার চোখ খুব সুন্দর' সেদিন থেকে বাবা-ই কাজল পরায়। আর চুপ করাতে গিয়ে আমার ঠোঁটের রুক্ষতা টের পেয়েছিলে, সেদিন থেকেই বাবা....
বাবা কেন?
মা বলে, অরুণের মনের মত সাজাতে একমাত্র বাবা-ই পারে।
আজ তুমি ভোরের সূর্য।
কি করে বুঝলে?
এলোচুলে বকুলমালা জড়িয়ে দিতে দিতে অরুণ বলে "তোমার হাঁটার শব্দ,গায়ের গন্ধ আমার চেনা,হাসি আমাকে হাসায়, কান্না হৃদয়বিদারক,স্পর্শে শরীরে বিদ্যুৎ খেলে, আর সামান্য সাজ'...কপালে হাত দিতেই বলল 'টিপ'?
আবেগঘন কণ্ঠে "তোমার অপেক্ষায়"।