পরিবেশ বাঁচানোর সঙ্কল্প, গাছে গাছে নিষ্ফলা মানমন্দির পাহাড়কে ভরিয়ে দিলেন বনকর্মী প্রমোদ
বিশ্বের সবথেকে সুন্দর কেল্লাগুলির মধ্যে অন্যতম গোয়ালিয়রের মান মন্দির কেল্লা। এই কেল্লার পাদদেশের এলাকা নজরে আসে অসমান এবং নিষ্ফলা জমি। পাথুরে এই রাস্তায় গাছ তো দুরস্ত সোজা ভাবে দাঁড়ানোই বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু বনবিভাগের কর্মী প্রমোদ চতুর্বেদী সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছেন।
গোয়লিয়র: বিশ্বের সবথেকে সুন্দর কেল্লাগুলির মধ্যে অন্যতম গোয়ালিয়রের মান মন্দির কেল্লা। এই কেল্লার পাদদেশের এলাকা নজরে আসে অসমান এবং নিষ্ফলা জমি। পাথুরে এই রাস্তায় গাছ তো দুরস্ত সোজা ভাবে দাঁড়ানোই বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু বনবিভাগের কর্মী প্রমোদ চতুর্বেদী সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছেন।
মানসিক দৃঢ়তা এবং গাছের প্রতি ভালবাসাকে সম্বল করেই মান মন্দির কেল্লার পাদদেশে এই এলাকাকে গাছে ভরিয়ে দিয়েছেন প্রমোদ। কিন্তু কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। দুহাজার নয় সালে প্রমোদ যখনও ওই এলাকায় আসেন তখন পাহাড়ি এলাকায় জল আটকানো এবং বৃক্ষ সংরক্ষণ মোটেও বেশ মুশকিল ছিল। মটকা পদ্ধতিতে জল ধরে রেখে গাছ সংরক্ষণ শুরু করেন প্রমোদ। ড্রিপ পদ্ধতিতে গাছের ওপর জল দেওয়ায় দেখতে দেখতে গোটা এলাকা সবুজে ভরে যায়। ঊর্ধ্বতন এক আধিকারিকের গাছ কাটার নির্দেশ না মেনে একবার চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন প্রমোদ।
যত দিন কেটেছে গাছের প্রতি টান আরও বেড়েছে প্রমোদের। ফল ও মিলেছে হাতেনাতে। যে এলাকায় যেতে মানুষ একসময় ভয় পেত আজ সেই এলাকায় ভিড় জমান প্রাতঃভ্রমণকারীরা। অনেকে আবার পিকনিক করতেও যান। পরিবেশ বাঁচানোর সঙ্কল্পে প্রমোদ অসাধ্যকে সাধন করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আপনি কখনও এরকম কিছু করার কথা ভেবেছেন কি?