শনির উপগ্রহে মিলল একশোর বেশি উষ্ণপ্রস্রবণ, এলিয়েনের অস্তিত্বে আশাবাদী নাসার বিজ্ঞানীরা
সৌর পরিবারে বৃহস্পতির পর যদি কারও একান্নবর্তী পরিবার থাকে তা হল শনি। সূর্যের দ্বিতীয় বৃহতম গ্রহ শনির সংসারে ৬২ টি সন্তান, তারমধ্যে সরকারিভাবে রয়েছে ৫৩ জন। তারই ষষ্ঠ সন্তান এ্যানসিলেডাসে মিলল এক অভূতপূর্ব সন্ধান।
সৌর পরিবারে বৃহস্পতির পর যদি কারও একান্নবর্তী পরিবার থাকে তা হল শনি। সূর্যের দ্বিতীয় বৃহতম গ্রহ শনির সংসারে ৬২ টি সন্তান, তারমধ্যে সরকারিভাবে রয়েছে ৫৩ জন। তারই ষষ্ঠ সন্তান এ্যানসিলেডাসে মিলল এক অভূতপূর্ব সন্ধান। ১০১টি উষ্ণপ্রস্রবণ ও জলীয় বাস্পের আভাস দিল ১৯৯৭ সালে পাঠানো নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনি।
এ্যানসিলেডাস, শনির ষষ্ঠতম উপগ্রহতে এর আগে নাসা সন্ধান পেয়েছিল জলের সন্ধান। এ্যানসিলেডাসের গহ্বরে লুকিয়ে রয়েছে বিশাল সমুদ্র। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় খোঁজ মিলেছে আরও নতুন কিছু তথ্য। এই উপগ্রহের দক্ষিণ পোলে দেখা গেছে প্রায় ১০১টি জলীয় বাস্পের উষ্ণপ্রস্রবণ। ২০০৫ ক্যাসিনি প্রথম উষ্ণপ্রস্রবণের ছবি পাঠায়। ৩১০ মাইল চওড়া বাঘের ডোরা কাটা দাগের মতো দেখতে। কিন্তু সেইসময় এটি বিজ্ঞানীদের কাছে বিতর্কের বিষয় ছিল। অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করছেন উষ্ণপ্রস্রবণের কারন হল বাঘের ডোরা কাটা দুই দেওয়ালে একে অপরের ঘষা লেগে তাপের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা উল্টো মত পোষন করছেন। তাঁদের মতে উষ্ণপ্রস্রবনগুলির স্রোত একেবারে নিচে নেমে গিয়ে ধাক্কা মারে এ্যানসিলেডাসের অভ্যান্তরের বরফ স্তরে। বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় উপরে উঠে এসে শূণ্যে বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই তাঁরা এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
ক্যাসিনি প্রমাণ করেছে, এ্যানসিলেডাসে রয়েছে বিশাল সমুদ্র, শক্তি, পরিপোষক পদার্থ, জৈব পদার্থ। বিজ্ঞানীর আশা করছেন শনির এই ছোট্ট উপগ্রহে বাসযোগ্য পরিবেশ মিলতে পারে। মানুষের না হলেও মিলতে পারে আমাদের স্বপ্নে দেখা জাদুর মতো ভিন গ্রহের প্রাণীর।