গয়নার বাক্স
ব্রাইট কালার সিঙ্গল টোন ড্রেস। সঙ্গে জমকালো ভারী অ্যাক্সেসরিজের বাহার। চোখে ঘন কালো কাজল। ২০১২-র ফ্যাশন ট্রেন্ড।
প্রমা মিত্র
ব্রাইট কালার সিঙ্গল টোন ড্রেস। সঙ্গে জমকালো ভারী অ্যাক্সেসরিজের বাহার। চোখে ঘন কালো কাজল। ২০১৩-র ফ্যাশন ট্রেন্ড। বছরভরই চলছে শুধু অ্যাক্সেসরিজের রাজত্ব। আর এর মধ্যে একেবারে রাজ সিংহাসনে বসে রয়েছে জাঙ্ক জুয়েলারি। ছোট প্রিন্টের সুতির পোষাক, একরঙা বা সরু স্ট্রাইপের র সিল্কের কুর্তি, ফ্লোরাল প্রিন্টের নি লেংথ সামার ড্রেস বা শাড়ি, সব কিছুই পূর্ণতা পাচ্ছে জাঙ্কে। সিলভার, অক্সিডাইজড, তামার মতো ভারী মেটালের গয়নার পাশাপশি রঙবেরঙের বিডস বা বাহারি সুতোর গয়নাও দেদার বিকোচ্ছে।
তবে জাঙ্ক জুয়েলারি মানেই কিন্তু লোন পিস অফ অ্যাক্সেসরি। অর্থাত্ হার, দুল, চুড়ি, রিস্টলেট, আংটির মধ্যে কোনও একটাকে বেছে নিয়ে সেটার ওপরই মনোনিবেশ করুন। অন্যগুলোর কথা ভুলে যান। তবে এখন বড় দুলের ফ্যাশন একটু কমই চলছে। গলাভরা হার, হাতভর্তি বিভিন্ন রকম অ্যাক্সেসরিজ বা মধ্যমায় বিরাজমান জাব্দা আংটিই এখন বাজার কাঁপাচ্ছে। তাই এই পর্বে আমরা নেকপিস ও ব্যাঙ্গলের ওপরই আলোকপাত করলাম।
নেকপিস: একরঙা বা একদম ছোট প্রিন্টের পোশাকের সঙ্গে অ্যাক্সেসরি হিসেবে অবশ্যই বেছে নিন হার। তবে পোষাকের নেকলাইনে যদি কাজ থাকে বা কলার দেওয়া জামার সঙ্গে নেকপিস নৈব নৈব চ। সেক্ষেত্রে দুল বা হাতের গয়নাই মানানসই। খাদি বা র সিল্কের গাঢ় একরঙা পোষাক যেমন মেরুন, পার্পল, ব্রাইট অরেঞ্জ, ম্যাজেন্টা, ইলেকট্রিক ব্লু, সবুজ, শকিং হলুদ বা অফ হোয়াইট পোষাকের সঙ্গে ভারী মেটাল, কাঠ, হাড়ের নেকপিস বা কনট্রাস্ট সুতোর হারের মেলবন্ধন জাস্ট পিক অফ দ্য সিজন। তবে পোষাকে যদি ছোট ছোট প্রিন্ট থাকে তাহলে অপেক্ষাকৃত ছোট বা একেবারে গলার সঙ্গে লাগানো নেকপিস পরুন। নাহলে পোষাক, গয়না দুটোই ঘেঁটে যাবে। পুরো সাদা বা কালো পোষাক পরলে কমপ্লেকশনের সঙ্গে মানাসই বড় বিডসের হার বা একরঙা ছোট বিডসের অনেক নেকপিস একসঙ্গে কম্বো করে পরতে পারেন। তবে কালোর সঙ্গে মেটাল বা সুতোর গয়নাও অসাধারণ লাগে। সাদার ওপর ছোট ছোট ফ্লোরাল প্রিন্টের ড্রেস বা অফ শোল্ডার ব্ল্যাক ড্রেসের সঙ্গে বিডসের মাখোমাখো প্রেম।
যদি শাড়ি পরেন তাহলেও একই ভাবে একরঙা বা ছোট প্রিন্টের শাড়ির সঙ্গে বিভিন্ন রকম নেকপিস পরতে পারেন। শাড়িতে চওড়া পাড়, বড় প্রিন্ট বা জমকালো চেকস থাকলে গলা খালি রাখাই ভালো। ব্লাউজে খুব বেশি কাজ থাকলেও খালি গলাই দেখতে বেশি ভালো লাগে। একরঙা সুতির শাড়ি আর প্রিন্ডেড সুতির ব্লাউজের সঙ্গে কনট্রাস্ট সুতোর নেকপিস এবারের পুজোর সকালের সেরা কম্বিনেশনগুলির একটি।
চুড়ি, ব্যাঙ্গল, রিস্টলেট বা রিস্ট ব্যান্ড: এবার আসি হাতের গয়নায়। পোষাকে যত কম কাজ থাকবে হাতের গয়না তত জমকালো হবে। যদি কলার দেওয়া একরঙা স্লিভলেস পোষাক পরেন তাহলে পোষাকের রঙের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে বিভিন্ন রঙের বিডস বা সুতির ব্যাঙ্গলস হাত ভরে পরে নিন। ব্যাস। সাজ সম্পূর্ণ। তবে মনে রাখবেন কখনই দু হাত ভর্তি চুড়ি পরে ফেলবেন না যেন। একহাতে চুড়ির মেলার সঙ্গে অন্যহাত থাকবে সম্পূর্ণ খালি। পোষাকের হাতা যত লম্বা হবে চুড়ির বা রিস্ট ব্যান্ডের পরিমান তত কমতে থাকবে। পোষাকে জঙলা প্রিন্ট থাকলে হাতে কখনই জমকালো কিছু বা বেশি কিছু পরবেন না। সেক্ষেত্রে একটা চওড়া অক্সিডাইজড ব্যাঙ্গল বা ডোকরার বালাতেই কাজ সেরে নিন। কান একেবারে খালি রাখতে না চাইলে ছোট চাপা দুল বা কম ঝোলা দুল পরতে পারেন। সুতি বা র সিল্কের শাড়ির সঙ্গেও বিভিন্ন মেটাল, কাঠ, সুতোর চুড়ি দেখতে খুব ভালো লাগে। দু ইঞ্চি বা পাঁচ ইঞ্চি হাতা ব্লাউজ অথবা স্লিভলেসের সঙ্গে এগুলো পরতে পারেন। তবে ভারী কাজ করা বা নেটের শাড়ির সঙ্গে হাতে কিছু না পরলেই ভালো লাগে। খুব ইচ্ছে করলে হালকা সোনার চুড়ি বা স্টোন বসানো সরু রিস্টলেট পরে নিতে পারেন। সেইসঙ্গে কানে লম্বা ঝোলা দুল ভালো লাগবে।
মনে রাখবেন চুড়ির সঙ্গে দুল পরা গেলেও নেকপিসের সঙ্গে একেবারে স্ট্রিকট নো নো।