River Fish Vs Sea Fish: মিষ্টি না সমুদ্র, কোন জলের মাছে বেশি পুষ্টি? জেনে নিন

কথাই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। রোজ দুপুরে পাতে একটা মাছ না থাকলে খাওয়াটা যেন জমে ওঠে না। কিছুর একটা অভাব তো থেকেই যায়। তাই কোথাও ঘুরতে গিয়েও হোটেলে এসে বাঙালি মাছ খোঁজে। মাছ খাওয়ার অভ্যাসটা একদম ছোট বয়সেই তৈরি হয়ে যায়। শিশুর মুখে মা-দিদা-ঠাকুমারা ভাতের সঙ্গে মাছও খাইয়ে দেন। আর এই অভ্যাস বড় বয়সেও রয়ে যায়। মাছ খাওয়া নিয়ে বাঙালির সব সময় একটি আবেগ কাজ করে। মাছের ঝোল কিংবা মাছ ভাজা আমরা বাঙালিরা মাছ অন্ত প্রাণ। তবে সমুদ্রের মাছ না মিষ্টি জলের মাছ, কোনটা বেশি উপকারী? এই নিয়ে আমাদের মনে একটা ভাবনা আজীবন রয়ে যায়।

Updated By: Apr 17, 2023, 08:30 PM IST
River Fish Vs Sea Fish: মিষ্টি না সমুদ্র, কোন জলের মাছে বেশি পুষ্টি? জেনে নিন

জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: কথাই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। রোজ দুপুরে পাতে একটা মাছ না থাকলে খাওয়াটা যেন জমে ওঠে না। কিছুর একটা অভাব তো থেকেই যায়। তাই কোথাও ঘুরতে গিয়েও হোটেলে এসে বাঙালি মাছ খোঁজে। মাছ খাওয়ার অভ্যাসটা একদম ছোট বয়সেই তৈরি হয়ে যায়। শিশুর মুখে মা-দিদা-ঠাকুমারা ভাতের সঙ্গে মাছও খাইয়ে দেন। আর এই অভ্যাস বড় বয়সেও রয়ে যায়। মাছ খাওয়া নিয়ে বাঙালির সব সময় একটি আবেগ কাজ করে। মাছের ঝোল কিংবা মাছ ভাজা আমরা বাঙালিরা মাছ অন্ত প্রাণ। তবে সমুদ্রের মাছ না মিষ্টি জলের মাছ, কোনটা বেশি উপকারী? এই নিয়ে আমাদের মনে একটা ভাবনা আজীবন রয়ে যায়।

আরও পড়ুন Possibility of Celebrating Eid-ul-Fitr: শেষ হতে চলল পবিত্র রমজান মাস; ইদ কবে? ২২ এপ্রিল না ২৩?

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাছ খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।  মাছের মধ্যে একাধিক গুণ রয়েছে। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে দিতে পারে মাছ। তাই ডায়েটে নিয়মিত মাছ রাখা দরকার। প্রসঙ্গে  পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। এর মাধ্যমে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়। এছাড়া এতে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়াম। এটি প্রতি কোষে পুষ্টি জোগায়, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত।

মিষ্টি জলের মাছের পুষ্টিগত গুণ:
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে ছোটবেলায় সাধারণত আমরা মিষ্টি জলের মাছই খেয়ে থাকি। যেমন- রুই, কাতলা, শিঙি,মাগুর ইত্যাদি হল মিষ্টি জলের মাছ। এই ধরনের মাছ কিন্তু অত্যন্ত উপকারী। এই সকল মাছে  যেমন প্রোটিন রয়েছে, ঠিক তেমনই ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়ামের মতো উপকারী উপাদানও মিলবে। ফলে রক্তাল্পতা সারে, হাড়ের শক্তিবৃদ্ধি হয়। এমনকী পেশি হয় সুগঠিত। তাই এই ধরনের মাছ খেতেই হবে।

সমুদ্রের মাছের পুষ্টিগত গুণ:
সমুদ্রের মাছও অত্যন্ত পুষ্টিকর। মাছ সমুদ্রের হোক বা মিষ্টি জলের, সবই পুষ্টিকর। তবে দেখা গিয়েছে যে প্রতি ১০০ গ্রাম সামুদ্রিক মাছে প্রোটিনের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে। যেমন- পমপ্লেট, ইলিশ, চিংড়ি মাছ। তবে সবথেকে ভালো হয় স্যালমন, টুনা জাতীয় মাছ খেতে পারলে। এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি। এই ওমেগা থ্রি কিন্তু মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে। এমনকী হার্ট ভালো রাখে। ফলে শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে এই ধরনের মাছকে খেতে হবে।

আরও পড়ুন :Watch: পিয়ানো বাজাচ্ছেন কর্তা, তালে-সুরে গানে বুঁদ পোষ্য কাকাতুয়া!

তবে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে এভাবে আলাদা করে কোনও নির্দিষ্ট ধরনের মাছ খাওয়ার কথা বলতে তাঁরা রাজি নন । তাঁদের কথায়, দুই ধরনের মাছই খুব উপকারী। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে হবে। সপ্তাহে ৪ দিন মিষ্টি জলের মাছ খান, ৩ দিন খেতে পারেন সমুদ্র জলের মাছ। আবার এই হিসেবটা উলটেও নিতে পারেন। কোনও সমস্যা হবে না। এক্ষেত্রে সবথেকে জরুরি কাজ হল প্রতিদিনের ডায়েটে মাছ রাখা। আপনি নিয়মিত মাছ খেতে পারলেই অনায়াসে বহু সমস্যার সমাধান করে দিতে পারবেন।

দিনে ১০০ গ্রাম মাছ খাওয়া যায়। এর বেশি পরিমাণ খাওয়ার একদমই প্রয়োজন নেই। সেই হিসাবে দেখতে গেলে দুটি মাঝারি সাইজের মাছের পিস খাওয়াই যায়। এতেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মিটবে। তবে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর জন্য শুধুমাত্র মাছের উপর নির্ভর করলে চলবে না। বরং তার সঙ্গে খেতে পারেন ডিম, সোয়াবিন, মাংস। সবকিছু মিলিয়ে-মিশিয়ে খেলেই ভালো হয়।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.