একটি শূকরের জীবনকাহিনী "স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় ..."

স্বাধীনতা সবাই চায়। আর বাঁচার স্বাধীনতা তো প্রত্যেক জীবের প্রথম ইচ্ছা। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে অনেক ক্ষুদ্র জীবকে হার মানতে হয় অধিক ক্ষমতাবাণ ও বুদ্ধিশীল জীবের কাছে। সত্যি বলতে মানুষের কাছে। যেন পৃথিবীই নতজানু হয়ে বশ্যতা স্বীকার করছে মানুষের কাছে। এতকিছু বলার কারণ অঙ্ক মাঝের মধ্যে ভুল হয়। আর ভুল অঙ্কও কঠিন বাস্তবকে চিনিয়ে দেয়। কিছু ছোটো ঘটনাও চোখ খুলে দেয় আমাদেরকে।

Updated By: Jun 8, 2014, 11:07 AM IST

স্বাধীনতা সবাই চায়। আর বাঁচার স্বাধীনতা তো প্রত্যেক জীবের প্রথম ইচ্ছা। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে অনেক ক্ষুদ্র জীবকে হার মানতে হয় অধিক ক্ষমতাবাণ ও বুদ্ধিশীল জীবের কাছে। সত্যি বলতে মানুষের কাছে। যেন পৃথিবীই নতজানু হয়ে বশ্যতা স্বীকার করছে মানুষের কাছে। তবুও অঙ্ক মাঝের মধ্যে ভুল হয়। আর ভুল অঙ্ক কঠিন বাস্তবকে চিনিয়ে দেয়। কিছু ছোটো ঘটনাও চোখ খুলে দেয় আমাদেরকে।

চিনের গুয়াংডং প্রদেশের ফোশান রোড দিয়ে যাচ্ছিল একঝাঁক শূকর বোঝাই লড়ি। শূকরগুলো হয়ত জানে আর কয়েকঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে কসাই করা হবে। জাল দিয়ে আটকানো রয়েছে। কিন্তু জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাবার জন্য আপ্রাণ চিত্কার শূকরছানাগুলির। ব্যর্থ তাদের প্রচেষ্টা। অসহায়ভাবে একেঅপরের নিজেদেরকে আঁকড়ে ধরে। মত্যু তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। মনে করিয়ে দেয় `নিমো` সিনেমার একটি ছোট্ট মাছের কাহিনী। অ্যাকোরিয়ামে থাকা সামুদ্রিক মাছগুলি কতবারই চেষ্টা করেছে অতল সমুদ্রে ফিরে যাবার জন্য। বার বার ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু হার মানে নি। ছোট্ট নিমো মানুষের মায়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল। তেমনই বেরিয়ে এসে বাস্তবের মাটিতে পা রাখে এক শূকরছানা। জাল ছিঁড়ে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেয়। ১৬ ফুট উঁচু থেকে ঝাপ দিয়েও অক্ষত থাকে শূকরটি।

এইসব কিছুরই সাক্ষি ছিল পিছনে গাড়িতে থাকা এক যুবক। শূকরছানাটিকে পুলিস স্টেশনে রাখা হয়েছে। কিন্তু তারপর। শূকরের ভাগ্য এরপরে কী হবে, সেটা তেপান্তরের খবরে। তবে বলে রাখা ভাল, ভুল অঙ্ক ভুলই হয়।

-------------------------------------------------

.