হনিমুন নয়, 'ডেস্টিনেশন ওয়েডিং'-এর খোঁজে বাঙালি
নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডেস্টিনেশ ওয়েডিং। শুধু তারকারা নয়, সাধারণ মানুষও এখন আত্মীয়স্বজন, জাঁকজমক ছেড়ে চাইছেন সুন্দর কোনও লোকেশনে শুধুমাত্র কাছের মানুষদের নিয়ে ছিমছাম পরিসরে বিয়ে করতে। অনেকেই ভাবেন ডেস্টিনেশন ওয়েডিং খরচ সাপেক্ষ। তাই ইচ্ছা থাকলেও বাঙালিরা অনেকেই ভয় পান এই ধরণের পরিকল্পনা করতে। আবার রয়েছে কিছু ঝক্কিও। তবে একটু সময় নিয়ে, ভেবে পরিকল্পনা করলে যেতে হবে না বিদেশে কোথাও, রাজ্যের বাইরেও। চাইলে পশ্চিমবঙ্গেরই যে কোনও সুন্দর জায়গায় সাজতে পারে আপনার বিয়ের আসর। রইল তেমনই কিছু ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ঠিকানা।
ওয়েব ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডেস্টিনেশ ওয়েডিং। শুধু তারকারা নয়, সাধারণ মানুষও এখন আত্মীয়স্বজন, জাঁকজমক ছেড়ে চাইছেন সুন্দর কোনও লোকেশনে শুধুমাত্র কাছের মানুষদের নিয়ে ছিমছাম পরিসরে বিয়ে করতে। অনেকেই ভাবেন ডেস্টিনেশন ওয়েডিং খরচ সাপেক্ষ। তাই ইচ্ছা থাকলেও বাঙালিরা অনেকেই ভয় পান এই ধরণের পরিকল্পনা করতে। আবার রয়েছে কিছু ঝক্কিও। তবে একটু সময় নিয়ে, ভেবে পরিকল্পনা করলে যেতে হবে না বিদেশে কোথাও, রাজ্যের বাইরেও। চাইলে পশ্চিমবঙ্গেরই যে কোনও সুন্দর জায়গায় সাজতে পারে আপনার বিয়ের আসর। রইল তেমনই কিছু ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ঠিকানা।
বিচ ওয়েডিং-
যদি সমুদ্রতটের একরাশ বালিয়াড়িতে সাজাতে চান নিজের বিয়ের মণ্ডপ তবে অবশ্যই বেছে নিতে পারেন দিঘা, মন্দারমনি বা তাজপুরের মতো সমুদ্রতট। তবে দিঘায় পর্যটকদের সমাগম বেশি হওয়ায় বিয়ের জন্য বেছে নেওয়া উচিত্ বছরের এমন একটা সময় যখন পর্যটক সমাগম হয় কম। এক্ষেত্রে সুবিধাজনক মন্দারমনি বা তাজপুরের বিচ। পর্যটক সমাগম এমনিতেই কম হওয়ায় বিছানো সমুদ্রটতের ফাঁকা জায়গা জুড়ে সাজাতে পারেন বিয়ের আসর। তালিকায় থাকতে পারে শঙ্করপুর, জুনপুট, বকখালির জম্বুদ্বীপ, সাগরদ্বীপ, ফলতা, ফ্রেজারগঞ্জ বিচ।
ফোর্ট বা প্যালেস ওয়েডিং-
ভারতীয় তারকারা এখন অনেকেই বিয়ের জন্য বেছে নিচ্ছেন রাজস্থান বা আগ্রার বিভিন্ন প্রাসাদ। পিছিয়ে নেই হায়দরাবাদের ফলকনামা প্যালেস হোটেলও। ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রাসাদকে পরিনত করা হয়েছে হোটেলে। যেখানে বিয়ের থিমও হয় রাজকীয়। অর্থাত্, বিয়ের সাজ থেকে আবহ, খাবারের তালিকা সবকিছুতেই থাকবে রাজ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার রাজবাড়ি, মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্রাসাদ, ঝাড়গ্রাম প্রাসাদ(মেদিনীপুর), ভূটান হাউজ প্যালেস, রায়চক বা বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চেও সাজাতে পারেন আপনার স্বপ্নের মণ্ডপ।
মাউন্টেন ওয়েডিং-
বসন্তের পর ভারতীয়দের বিয়ের জন্য সবথেকে পছন্দের ঋতু শীত। অনেকই চান ঠান্ডায় বিয়ে করতে। আর বিয়ে যদি করা যায় হিমালয়ের কোলে তাহলে তো কথাই নেই। ঝকঝকে আকাশে বিয়ের ছবি যেমন সুন্দর হবে, তেমনই সুন্দর আবহাওয়ায়, হিমেল পরিবেশও বিয়ের অনুষ্ঠানও হবে মনোরম। পশ্চিমবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পঙ, কার্সিয়ঙ, সন্দাকফু, লাভা, ডুয়ার্স, পেডং, সামসিঙ হয়ে উঠতে পারে অসাধারণ ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। বিচ ও প্যালেস ওয়েডিংয়ের পাশাপাশি জনপ্রিয়তায় ক্রমশই ওপরে উঠে আসছে মাউন্টেন ওয়েডিং।
ফরেস্ট ওয়েডিং-
ভালবাসায় পরিপূর্ণ জীবন শুরু করার জন্য জঙ্গলে বিয়ের থেকে ভাল কিছুই হতে পারে না। সবুজ, পাখির কলরবের মাঝে জঙ্গল সেজে উঠবে আপনার বিয়ের জন্য। ডুয়ার্স, বক্সা, জলদাপাড়া, গরুমারার জঙ্গলে বন দফতরের অনুমতি নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে বিয়ের। তবে বনের পশুপাখিকে বিরক্ত না করেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা শ্রেয়। দিনের বেলা সুন্দরবনের লঞ্চেও হতে পারে বিয়ের অনুষ্ঠান।
ভিলেজ ওয়েডিং-
অনেকেই চান বিয়ে করতে গ্রাম্য পরিবেশে। শান্তিনিকেতনে আমার কুঠী, রায়চকে আমার কুঠী বা ভেদিক ভিলেজে তাই তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম গ্রাম্য পরিবেশ। এই পরিবেশে অনায়াসে পরিকল্পনা করতে পারেন আপানর বিয়ের।