ঘরোয়া উপায় রোগা হওয়ার কতগুলো সহজ টিপস
পুজোর মরসুম সবেমাত্র মিটেছে। কিন্তু তার আমেজ কাটতে না কাটতেই আবার সামনে চলে আসছে শীতকাল। শীতকালে মোটা হওয়ার প্রবণতা প্রায় অনেকটাই বেরে যায়। কারণ শীতকাল মানেই যে নো শরীর খারাপ, তাই নো চিন্তা। যত খুশি খাও আর আরাম করো। এছাড়া শীতকালে ঘাম যেহেতু খুব একটা হয় না, তাই কাজ করলেও খুব একটা রোগা হওয়া যায় না। কিন্তু জিমে ভর্তি হওয়া মানেই তো সেই কত টাকা খরচ। তাই যদি ঘরোয়া উপায় রোগা হতে পারেন তাহলে তো আর মন্দ হয় না?
ওয়েব ডেস্ক: পুজোর মরসুম সবেমাত্র মিটেছে। কিন্তু তার আমেজ কাটতে না কাটতেই আবার সামনে চলে আসছে শীতকাল। শীতকালে মোটা হওয়ার প্রবণতা প্রায় অনেকটাই বেরে যায়। কারণ শীতকাল মানেই যে নো শরীর খারাপ, তাই নো চিন্তা। যত খুশি খাও আর আরাম করো। এছাড়া শীতকালে ঘাম যেহেতু খুব একটা হয় না, তাই কাজ করলেও খুব একটা রোগা হওয়া যায় না। কিন্তু জিমে ভর্তি হওয়া মানেই তো সেই কত টাকা খরচ। তাই যদি ঘরোয়া উপায় রোগা হতে পারেন তাহলে তো আর মন্দ হয় না?
গ্রিন টী
দিনের শুরু করুন হেলদি কোনও খাবার দিয়ে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলের মধ্যে মধু এবং লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া যদি আপনি মধু লেবু মিশিয়ে গ্রিন টীও খেতে পারেন। এই খাবার খেলে অতিরিক্ত টক্সিন আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।
লিস্ট
যেদিন থেকে রোগা হওয়ার কথা ভাববেন সেদিন প্রথমেই কি কি খাবেন এবং কখন খাবেন তার একটা লিস্ট বানিয়ে নিন।
নৃত্য
যদি আপনি নৃত্যশিল্পী নাও হন, তাহলে গানের সঙ্গে পায়ে তাল মেলান। ১০ মিনিট ধরে তাল মিলিয়ে দেখুন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫৮ শতাংশ ক্যালোরি বার্ন করতে পারবেন।
মশলাদার খাবার
শুধু সিদ্ধ খাবার কখনই খাবেন না। মশলা যেমন হলুদ, ধনে, জিরেগুঁরো ইত্যাদি মশলাগুলিকে কখনওই খাবার থেকে বের করে দেবেন না। কারণ এই মশলাই আপনাকে রোগা হতে সাহায্য করবে।
ফোনে ঘুরে কথা বলুন
যখন ফোনে কথা বলবেন তখন একটা জায়গাতে বসে কখনওই কথা বলবেন না। সব সময় ঘুরে ঘুরে কথা বলুন। এইভাবে ১০ মিনিটে ৩৬ শতাংশ ক্যালোরি নষ্ট করতে পারবেন।
জল খান
প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল খাওয়ার ফলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেওয়া সম্ভব হবে।
ঘর মুছুন
বাড়ির কাজ করুন। যেমন ঘর মুছলে সব থেকে বেশি ক্যালোরি নষ্ট করা যায়। রোগা হওয়ার জন্য এই পদ্ধতিতে রোগা হওয়া খুবই সহজ ব্যাপার। এর ফলে ৪২ শতাংশ ক্যালোরি নষ্ট করা সম্ভব।
চিনিকে না বলুন
চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন। ১ চা চামচে মোট ১৬ শতাংশ ক্যালোরি থেকে থাকে। তাই চায়ে বা দুধে কখনওই চিনি দিয়ে খাবেন না।
তাড়াতাড়ি ডিনার করুন
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতের খাবার খেয়ে নিন। কারণ রাতে খাবার খেয়েই শুয়ে পড়লে মোটা সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই রাতে যদি খিদে পায় তাহলে তখন এক গ্লাস দুধ খেতেই পারেন।
জগিং করুন
বাইরে দৌড়াতে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। পারলে নিজের ঘরের মধ্যেই জগিং করতে পারেন।
সেক্স করা আবশ্যক
সেক্স করুন। রোগা হওয়ার জন্য একেবারেই উপযুক্ত এই পদ্ধতিটি। সেক্স করার ফলে প্রচুর ক্যালোরি নষ্ট হয়ে যায় শরীর থেকে।
দিন ঘুম বাদ দিন
রাতে ৮ ঘন্টা ঘুমানো খুবই দরকার। কিন্তু কখনই দিনের বেলায় ঘুমাবেন না। এতে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
আস্তে আস্তে খান
যখন খাবার খাবেন তখন জলদি না খেয়ে আস্তে আস্তে খান। এতে আপনার পেটও ঠিক ঠাক ভাবে ভরবে। যদি খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে খেয়ে ফেলেন তাহলে প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলবেন।
খাবার আগে জল খান
খাবার খাওয়ার আগে সব সময় এক গ্লাস জল খান। এছাড়া জাঙ্ক ফুড একেবারেই খাবেন না। যেমন ক্রিম বিস্কুট, বার্গার ইত্যাদি। যতটা পারবেন বাড়ির তৈরি খাবার খান। এতে শরীর ভালো থাকবে এবং মোটাও হবেন না।
মদকে না বলুন
মদ একেবারেই খাবেন না। বিয়ারে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি বর্তমান। তাই বিয়ার এবং ওয়াইন খেলেই মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ছোট প্লেটে খান
প্লেট বদলে ফেলুন। যে প্লেটে খাবার খান তার থেকে ছোট প্লেটে খান। এতে মনে হবে বেশি খেয়ে ফেলছেন। তাই কম খাবার খেতে শুরু করবেন।
খিতে পেলে পপকর্ন খান
শুধুমাত্র সিনেমা হলে গেলেই পপকর্ন খাবেন না। যখনই খিদে পাবে তখনই পপকর্ন খেতে পারেন। এটি কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার। তাই মোটা হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
যোগা করুন
এই সব কিছু করার সঙ্গে যোগা করার কথা কখনই ভুলবেন না। যেমন স্ট্রেচ করা, সূর্যনমস্কার ইত্যাদি।