স্বাদ নিয়ে দশটা সুস্বাদু তথ্য
১) বিমানের খাবারের স্বাদ সাধারণত খারাপ লাগে কারণ অল্প আর্দ্রতা ও কেবিনের চাপ বাড়তে থাকায় নোনতা ও মিষ্টি স্বাদের উপলব্ধি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
২) Laetiporus ও sulphureus এই জাতীয় দু ধরনের মাসরুমের স্বাদ একেবারে মুরগির মাংসের মত হুবহু এক। মজার কথা বেশ কিছু প্রজাতির মুরগির প্রিয় খাদ্য এই ধরনের মাসরুম
৩) শুধু মুখ দিয়ে নয় ত্বকের মাধ্যমেও মানুষ স্বাদ গ্রহণ করতে পারে। ডিএমএসও নামের এক ধরনের কেমিক্যাল ত্বকের মাধ্যমে ঢুকে তা শরীরে ছড়িয়ে যায়। আর আমাদের মুখে রসুনের মত স্বাদের উপলব্ধি দেয়।
৪) আমরা জানি মানুষ ছয় ধরনের স্বাদের উপলব্ধি করতে পারে--টক, ঝাল, মিষ্টি, নোনতা, তেতো এবং উমামি ( monosodium glutamate glutamate জাতীয় জিনিসের স্বাদ বুঝতে পারা।)। কিন্তু আমরা আরও কিছু জিনিসের স্বাদ বুঝতে পারি যেমন ফ্যাট, ক্যালসিয়াম।
৫)জেরি নামের এক ব্যক্তির জিভে কোনও স্বাদকোরক নেই। ফলে সে কোনওদিন কোনও জিনিসের স্বাদ নিতে পারেননি। তাদের গন্ধ অনুভবের কোনও ক্ষমতা নেই। তবে তারা আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন।
৬) ১৯২০ সালে জার্মানিতে শুয়োরের মাংসের বদলে কাউকে না জানিয়ে মানুষের মাংস বিক্রি করা হয়েছিল। যারা সেই মানুষের মাংস বিক্রি করেছিল তারা দুজনে ছিল সিরিয়াল কিলার বা ধারাবাহিক হত্যাকারী। একসঙ্গে প্রায় ২৫০ জন মানুষ সেই মানুষের মাংস কিনে রান্না করে খেয়েছিল।
৭) synesthesia হল মানুষের এমন এক অবস্থা যাতে মানুষ বর্ণ, আকার, এমনকি শব্দের পর্যন্ত স্বাদ উপলব্ধি করতে পারে। একবার এক ব্যক্তির এমন অবস্থা হয়েছিল, তিনি বেলছিলেন নীল রঙের স্বাদ হল স্ট্রবেরির মত।
৮) ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আমরা যেটাকে স্বাদ বলে ভাবি সেটা আসলে গন্ধ।
৯) Ageusia হল এমন অবস্থা যখন স্বাদ উপলব্ধির সব ক্ষমতা হারিয়ে যায়। আর Hypergeusia হল যখন স্বাদ গ্রহণের সর্বোচ্চ অবস্থা।
১০) মাছি আর প্রজাপতির স্বাদকোরক থাকে তাদের পায়ে।