Zee 24 Ghanta খবরের জের, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে টাকা ফিরিয়ে দিল নার্সিংহোম
খবর পেয়েই Zee 24 Ghantaর প্রতিনিধি পৌঁছে যান বাঘাযতীনের রেডপ্লাস নার্সিংহোমে। তিনি সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে নথি দেখে সত্যতা যাচাই করেন।
অয়ন ঘোষাল: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেয়নি নার্সিংহোম, কারণ দেখানো হয়েছিল অপারেশন করা হবে না, তাই বৈধ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কোনও সুযোগই পাবেন না কানু সেনের মা শিখা রানি সেন। ১২ জানুয়ারি থেকে গুনতে হয় নার্সিং হোমের বিল। অবশেষে কোনও উপায় না পেয়ে এই অসাধুর কথা Zee 24 Ghantaকে জানায় কানু সেন।
খবর পেয়েই Zee 24 Ghantaর প্রতিনিধি পৌঁছে যান বাঘাযতীনের রেডপ্লাস নার্সিংহোমে। তিনি সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে নথি দেখে সত্যতা যাচাই করেন। গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হয় সংবাদ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: বৈধ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাকাল রোগী, গুনতে হচ্ছে নার্সিংহোমের বিল
যে কার্ড ভোটের আগে মমতা সরকারের 'মাস্টার স্ট্রোক' বলে দাবি করছেন অনেকে, সেই কার্ড নিয়েই নাজেহাল হন কানু সেন। বাঘাযতীন স্টেশন থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে রেড প্লাস নার্সিংহোম। তারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জমা নিতে অস্বীকার করায়, মোটা অঙ্কের বিল দিয়ে চলছে চিকিৎসা। রোগীর পরিবার যখন রিসেপশনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জমা দেয়, তখন তাঁকে জানান হয় অপারেশন হবে না। তাই এই কার্ড জমা রাখা যাবে না এবং চিকিৎসার জন্য বৈধ নয়। এই প্রসঙ্গে, হাসপাতালের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছে, "অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত আমি কিছু বলতে পারব না। স্বাস্থ্যভবন থেকে অনুমোদন না পেলে চিকিৎসা দেওয়া হবে কীভাবে?"
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে, সেই কার্ড দেখে রোগীকে ভর্তি করা হবে। সেই কার্ড এবং রোগী রোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সহ পরিচয়পত্র সমস্তটাই পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্য ভবনে। যা অনলাইন মারফত করা হবে। সেখান থেকে অনুমোদন আসবে। তবে এর মাঝে রোগীর চিকিৎসা বন্ধ থাকবে না। অপারেশন বা অন্য কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কোনও ভাগ নেই। যদি পাঁচ লক্ষ টাকা পার করে যায় নার্সিংহোমের বিল। সেক্ষেত্রে বাকি টাকা দিতে হবে রোগীর পরিবারকে। কিন্তু শিখা রানির চিকিৎসায় প্রথমেই জমা নেওয়া হয়নি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
Zee 24 Ghanta মারফত এই খবর পৌঁছে যায়, প্রাক্তন সভাপতি আই এম এ-ডাঃ শান্তনু সেনের কাছে। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে বিনামূল্যে পৌঁছে যায় চিকিৎসা। কিন্তু এই ঘটনা
মর্মান্তিক। এটা মানা যায় না। তাদের বলব, সরকার তাঁর কাজ করছে। এর মাঝে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই ধরনের কাজ করছে। যা মানা যায় না। আমি অনুরোধ করছি এরকম সমস্যা মুখোমুখি হলে উপযুক্ত ফোরামে অভিযোগ করুন। হেল্প লাইন নম্বর ব্যস্ত থাকলে স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ করুন"।
শুক্রবার সকাল থেকে Zee 24 Ghanta সংবাদ চ্যানেলে এই খবর দেখানোর পর নার্সিংহোম বেলা শেষে কানু সেনের হাতে টাকা ফিরিয়ে দেয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জমা নিয়ে ভুল স্বীকার করেছে। পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিখা রানী সেনের ছেলে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড মানবে না, সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।