Abhishek Banerjee: কী বলব তাও বলে দেবে ওরা! ব্রিটিশ শাসনেও দেশের মানুষ এতটা পরাধীন ছিল না:অভিষেক
ওরা নাম, প্রতীক সব বদলে দিচ্ছে। যে ভাবে জাতীয় প্রতীকের আবরণ উন্মোচন করা হয়েছে তা অদ্ভূত
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: চূড়ান্ত দম্ভ ও অহংকার নিয়ে চলছে দেশের সরকার। সবক্ষেত্রেই ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে আমরা কী বলব, কী খাব, কীভবে পুজো করব। সংসদে কিছু শব্দ ব্যবহারের তালিকা প্রকাশ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল পার্কে একুশে জুলাইয়ে আগতদের জন্য যে থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে তার প্রস্তুতি দেখতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'বছর পর প্রকাশ্যে একুশে জুলাই এবার হচ্ছে। ফলে বাড়তি একটা উত্তেজনা রয়েছে। শহিদ দিবসের সমাবেশে উত্তরবঙ্গে থেকে যারা আসেন তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় এখানে।
সেন্ট্রাল পার্কে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংসদে কিছু শব্দ বলা যাবে না। এমন কিছু শব্দের তালিকা তৈরি করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এসব হাস্যকর। দেখুন কীভাবে সরকার চলছে। স্বৈরতান্ত্রিক, একনায়কতন্ত্রের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে এই সরকার। শুধু দম্ভ ও অহংকার। সংসদের আলোচনা হবে। তাতে অংশ নেবেন সাংসদরা। আমি দুর্নীতিগ্রস্থ কথাটা বলতে পারব না। সরকার যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা বলতে পারব না। ওঁনারা ঠিক করে দেবেন আমরা কী বলব, কীভাবে চলব, কী খাব, কীভাবে চলব, কীভাবে পুজো করব। এসবের নিদান দিচ্ছে কেন্দ্র। ব্রিটিশ শাসনেও দেশের মানুষ এতটা পরাধীন ছিল না। সরকার যদি কোথাও ব্যর্থ হয় তাহলে আমাদের দায়িত্ব তা তুলে ধরা। সেখানে যদি সরকারকে আমি দুর্নীতিপরায়ণ না বলতে পারি, ভন্ড না বলতে পারি তাহলে কী বলব? ওরা ঠিক করে দেবে আমরা কী বলব? তাহলে তো নির্বাচন করে লাভ নেই! যে ভাবে চিন চলছে সে ভাবেই তাহলে এদেশ চালান। আপনারাই বলুন লজ্জিত কোনও অসাংবিধানিক শব্দ? প্রধনমন্ত্রী নিজে বলছেন আন্দোলনজীবী। আর ওরা বলছে জুমলাজীবী বলা যাবে না। আমরা ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পালন করছি। কিন্তু আজ যে ভারতের মানুষের অবস্থা তা ব্রিটিশ শাসনেও মানুষ এতটা পরাধীন ছিল না।
এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। তিনি বলেন, ওরা নাম, প্রতীক সব বদলে দিচ্ছে। যে ভাবে জাতীয় প্রতীকের আবরণ উন্মোচন করা হয়েছে তা অদ্ভূত। দেশের রাষ্ট্রপতিকে ডেকে তাঁর হাত দিয়ে ওই প্রতীকের আবরণ উন্মোচন করা উচিত ছিল। রাষ্ট্রপতির নির্দেশের পরই সেক্রেটারি জেনারেল সংসদের অধিবেশন বসান। আপনারা বলছেন আমরা একজন উপজাতিকে রাষ্ট্রপতি বানাচ্ছি। একজন তপসিলি জাতিভূক্তকে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে রেখেছি। তাঁর পদের প্রতি নূন্যতম সম্মান দেখানো গেল না? তিন চারজন মিলে ন্যাশনাল এমব্লেম উদ্বোধন করে দিলেন। কিন্ত দেশের রাষ্ট্রপতিকেও তাঁর সম্মান দেওয়া গেল না? রাম মন্দিরের শিলান্যাসে আপনি গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি সেখানে আমন্ত্রণ পাননি কেন? জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে যদি সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয় তাহলে গুজরাট আর মধ্যপ্রদেশ এক ও দুনম্বরে থাকবে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ শব্দতে আপত্তি রয়েছে বলে সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, আমি গিয়েছিলাম ধুপগুড়িতে। বাংলাতেই আছি। বাংলাতেই গিয়েছিলাম। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, গৌড়বঙ্গে সব আপনারা সৃষ্টি করেছেন। আমি বলব একটাই বঙ্গ। সেটি হল পশ্চিমবঙ্গ। ওখানে আমি জনসভাতে বলেছি, মানুষ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছি না। ওখানে মানুষের যে উত্সাহ লক্ষ্য করেছি তাতে আশাকরি আগামিদিনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে। যারা উত্তরবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ বলে বঙ্গভঙ্গের একটা ষড়যন্ত্র করে তাদের বাড়াভাতে ছাই পড়বে এবার।
আরও পড়ুন-কোভিশিল্ডের পর এবার সারভাইক্যাল ক্যানসারের টিকা আনছে সেরাম
আরও পড়ুন-২৭৩ জনকে বাড়তি ১ নম্বর, ব্যাপারটা নিউটনের আপেলের মত না! টেট মামলায় বিচারপতি