কেন ৩ জনকে কুপিয়ে আত্মহত্যা করলেন আবদুল? কারণ খুঁজতে সামনে এল শিউরে ওঠার মতো ঘটনা

ফের বিয়ে করার তোড়জোড়  শুরু করেছিলেন আব্দুল মতিন। তাই সম্ভবত পথের কাঁটা সরাতেই গতকাল সাইনা ও তাঁর মার ওপর আচমকা হামলা চালান তিনি। বাঘাযতীনকাণ্ডের তদন্তে নেমে এমনটাই অনুমান পুলিসের।

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাসিন্দা  আব্দুল মতিন ও সাইনা চৌধুরীর বিয়ে হয় বছর দশেক আগে।  মতিন তখন সেনাবাহিনীতে পাঠানকোটে কর্মরত । মতিন তামিলনাড়ুতে বদলি হওয়ার  পর  স্বামীর প্রথম বিয়ের কথা জানতে পারেন সাইনা। সেই থেকেই তাঁদের পারিবারিক অশান্তির শুরু। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর চাকরি ছাড়েন  মতিন। কয়েকমাস হল শ্বশুরের টাকায় কেনা বাঘাযতীনের ফ্ল্যাটই ঘরজামাই মতিনের স্থায়ী ঠিকানা।  পোস্ট অফিসের নিরাপত্তাকর্মী বলে এলাকায় তিনি নিজের পরিচয় দিতেন। সাইনা সল্টলেকের একটি কলেজে এমবিএর ছাত্রী। মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে সাইনার বাবা-মাও একই ফ্ল্যাটে থাকেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ,  তিনতলার ওই ফ্ল্যাটে অশান্তি লেগেই থাকত।

কিন্তু সেই অশান্তি যে এমন পর্যায়ে পৌছবে, তা সম্ভবত তাঁরা কেউই ভাবতে পারেননি। কেন এমন হল? কিন্তু শুধু স্বামী-স্ত্রীর অশান্তির জেরেই এমন অঘটন মানতে নারাজ পুলিস। ইতিমধ্যেই তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

কেন হামলা?
-------
দ্বিতীয় স্ত্রী সাইনাকে আর পছন্দ নয়। তৃতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মতিন

পড়াশোনা করে সাইনার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টাও মতিন ভাল চোখে দেখতেন না

মেয়ের নামেই বাঘাযতীনের ফ্ল্যাটটি কেনেন সাইনার বাবা। এর ঘোর বিরোধী ছিলেন মতিন। ফ্ল্যাট নিজের নামে করাতেও চাপ দেন তিনি।

ফ্ল্যাটে একাধিক সন্দেহভাজনের আনাগোনা নজর এড়ায়নি প্রতিবেশীদের । বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস। মতিনের পরিবারের নাগাল পেতে বেলডাঙাতেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।