ম্যাডাম মুখ্যমন্ত্রী আর কে কে চোর?

কুণাল ঘোষের পর সৃঞ্জয় বসু। সারদা-কাণ্ডে গরাদের ওপারে  দুই তৃণমূল সাংসদ। দলের আরেক সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান ও মন্ত্রী মদন মিত্রর কাছেও সিবিআইয়ের সমন পৌছে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরেক মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় ও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নকে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্নটা উঠছেই। সিবিআইয়ের জালে এ বার কে?

Updated By: Nov 21, 2014, 08:17 PM IST
ম্যাডাম মুখ্যমন্ত্রী আর কে কে চোর?

কলকাতা: কুণাল ঘোষের পর সৃঞ্জয় বসু। সারদা-কাণ্ডে গরাদের ওপারে  দুই তৃণমূল সাংসদ। দলের আরেক সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান ও মন্ত্রী মদন মিত্রর কাছেও সিবিআইয়ের সমন পৌছে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরেক মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় ও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নকে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্নটা উঠছেই। সিবিআইয়ের জালে এ বার কে?
    
দেড় বছর আগের কথা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সারদা-কাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রোজ আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। মে মাসের প্রবল গরমে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে দলের কর্মিসভায় রাগে ফেটে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, কুণাল চোর? মদন চোর? টুম্পাই চোর? আমি চোর? মুকুল চোর? আর তোমরা সব সাধু?

মুখ্যমন্ত্রীর সার্টিফিকেট পাওয়ার চার মাসের মাথায় সারদা-কাণ্ডে নিজের দলকেই কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। গত বছরের নভেম্বরে সারদা-কাণ্ডে কুণাল ঘোষকেই গ্রেফতার করে পুলিস।  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত মে মাসে সারদা-কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

নয়ই সেপ্টেম্বর বীরভূম জেলায় তৃণমূলের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক রজত মজুমদারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ডিজি পদমর্যাদার এই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে সারদার নামে বাজার থেকে টাকা তুলতেন বলে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়ালও গরাদের ওপারে।

সমন পেয়ে সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে গিয়ে শুক্রবার গ্রেফতার হলেন আরেক তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসু। অভিযোগ, সুদীপ্ত সেনের থেকে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন তিনি। এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা কেলেঙ্কারির নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের হদিশ পেতে প্রভাবশালীদের ধড়পাকড় শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। সমন পেয়েও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হাজিরা দেননি মন্ত্রী মদন মিত্র।  বিভিন্ন  অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা গেছে তাঁকে। সারদার কর্মী সংগঠনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। লোকসানে চলা সিমেন্ট কারখানা সুদীপ্ত সেনকে বেশি দামে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সুদীপ্ত সেনকে চ্যানেল বিক্রি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আতস কাঁচের নিচে রয়েছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নও। ফলে, তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্নটা উঠছে। কুণাল-রজত-সৃঞ্জয়ের পর এ বার কে?

 

.