Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়! কে দেখবেন মন্ত্রীর দফতর?
বিস্ফোরক মন্তব্য মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের। তিনি বলেন, বাকিবুরকে চিনতাম। দফতরে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে টাকা লেনদেন চলত, জানতাম। মন্ত্রীর নির্দেশেই মা ও স্ত্রীকে ডিরেকটরের পদে বসাই।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর কে দেখবে? সিদ্ধান্ত হতে পারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। আগামী ৮ তারিখ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। চলতি সপ্তাহের সেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই মুহূর্তে রয়েছেন বন দফতরের দায়িত্বে। সেক্ষেত্রে দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর কি দায়িত্ব বাড়বে? শোনা যাচ্ছে এমন সম্ভাবনাও। ওদিকে বিস্ফোরক মন্তব্য মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের। তিনি বলেন, বাকিবুরকে চিনতাম। দফতরে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে টাকা লেনদেন চলত, জানতাম। মন্ত্রীর নির্দেশেই মা ও স্ত্রীকে ডিরেকটরের পদে বসাই।
প্রসঙ্গত, তদন্তে উঠে এসেছে বাকিবুর রহমান ছাড়াও রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে আরও বেশ কিছু চালকল ও গমকলের মালিকরা। ইডির নজরে তাই বেশ কয়েকজন বড় বড় চালকল ও গমকল মালিক। ইডি সূত্রে খবর, রেশনের গম, চাল খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতেন এই সব চালকল, গমকল মালিকরা। তারপর সেই টাকা সরাসরি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে পাঠাতেন তাঁরা। তদন্তকারী সংস্থার প্রাথমিক অনুমান, ২০/৪০ : ৬০/৮০ শতাংশ রেশিওতে মিলেই রেশন ভাগ করা হত। সেখান থেকে রেশন পাঠানো হত ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে। পাঠানোর আগে অফিশিয়াল কাগজপত্রে সরকারি স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হত।
যে কারণেই দেগঙ্গায় একটি মিল থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০৯টি সরকারি স্ট্যাম্প। ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনশিয়াল কমোডিটিস সাপ্লাই করপোরেশন লিমিটেড, চিফ ইন্সপেক্টর, ডিসি (ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই) উত্তর ২৪ পরগনা, ব্লক এক্সটেনশন অফিসার অ্যান্ড ইনসপেকটর অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, পারচেজ অফিসার উত্তর ২৪ পরগনা, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার থেকে সাব ইনসপেকটর (ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই)- সব সরকারি স্ট্যাম্প-ই মিলেছে ওই মিলে! পাশাপাশি তদন্তে উঠে এসেছে, বাকিবুরের সঙ্গে দিনের পর দিন বালুর বৈঠক হয়। দুজনের বৈঠক হত খাদ্য দফতরে। সল্টলেকেও একটি জায়গায় বৈঠক হত। প্রভাবশালী বাকিবুরের গাড়ি থাকত মন্ত্রীর কনভয়েই। রেশন ডিলারদের সঙ্গে মন্ত্রীর কথাতেই যোগাযোগ রাখত বাকিবুর। অমিত দে-র বয়ানে উঠে এসেছে, তাঁর মোবাইল থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে কথা হত বাকিবুরের।
যদিও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সব জানেন। বিজেপি চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। দল তাঁর সঙ্গে আছে। তিনি দলে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। এমনকি খুব তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়া পাবেন। মন্ত্রী বলেন, "আমি নির্দোষ। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সৈনিক। এটা ইডি-বিজেপির চক্রান্ত। আমি প্রমাণ করে দেব ৬ তারিখ। বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে। মমতাদি পুরো ব্যাপারটা জানেন। দল আমার সঙ্গে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আমি আছি। দলের সঙ্গে আমি আছি। ছিলাম ও থাকব। খুব তাড়াতাড়ি আমি ছাড়া পাব। আপনারা জেনে রেখে দিন, অলরেডি এরমধ্যে আমি মুক্ত হয়ে গিয়েছি।"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)