West Bengal Election 2021:নির্বিঘ্নে ভোটের কথা বলতে চেয়েছি, 'বাহিনী ঘেরাও' নিয়ে কমিশনকে ব্যাখ্যা Mamata-র
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নোটিসের জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল নেত্রীর (TMC Supremo) দাবি, 'আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বোঝাতে ঘেরাও শব্দ ব্যবহার করেছি।'
কোচবিহারের সভায় বাহিনীকে ঘেরাওয়ের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন এমন নিদান? তার ব্যাখ্যায় নির্বাচন কমিশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন,'দেশকে সুরক্ষিত রাখতে আধা সামরিক বাহিনীর ভূমিকাকে সম্মান করি। তবে ৬ এপ্রিল তারকেশ্বরের রামননগরে এক শিশুকন্যাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে অজ্ঞাতপরিচয় জাওয়ানদের বিরুদ্ধে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এফআইআর হয়েছে থানায়। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি নির্বাচন কমিশন। তাছাড়া প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোটে আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ, একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে ভোটরাদের প্রভাবিত করার অভিযোগও রয়েছে। প্রথম তিনটি দফায় ৬,৮ ও ১৩৪টি অভিযোগ করেছি। তার মধ্যে কয়েকটি অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। অথচ বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিজি, ডিজি নিরাপত্তা, এডিজি আইনশৃঙ্খলা. হাওড়া গ্রামীণ, আলিপুরদুয়ার, ডায়মন্ড হারবার, কোচবিহার, কলকাতা দক্ষিণের এসপি, ডিসি, ডিএসপি ও ইনস্পেক্টরেদর সরানো হয়েছে।'
সেদিন কোচবিহারের জনসভায় কী বলেছিলেন, তার উল্লেখ করেছেন মমতা জবাবি চিঠিতে। তৃণমূল নেত্রীর দাবি করেছেন, 'সিআরপিএফ গন্ডগোল করলে ওদের ঘেরাও করে রাখবেন বাড়ির মেয়েদের একটা দল। আর একটা দল যাবে ভোট দিতে। শুধু ঘেরাও করলে ভোট দেওয়া যাবে না। এটাই বিজেপির পরিকল্পনা।'
মমতার (Mamata Banerjee) ব্যাখ্যা,'আমার ভাষণে বলেছি, ভোটাধিকারে বাধা দেওয়া হলে ভোটারদের বিশেষ করে মহিলাদের গণতান্ত্রিকভাবে ঘেরাও করতে বলেছি। প্রতিবাদের একটা গণতান্ত্রিক মাধ্যম ঘেরাও। তা কোনওভাবেই বেআইনি নয়। ১৯৬০ সাল থেকে ঘেরাও শব্দের চল বাংলার রাজনীতিতে। শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহের জন্য তা ব্যবহৃত হয়। আমি এটুকু বলতে চেয়েছি, ভোটাররা বহিরাগত প্রভাব ছাড়া যেন নির্বিঘ্নে ভোটটা দিতে পারেন। ভোটদানে সিআরপিএফ বাধা দিলেও তা মানা হবে না। ঘেরাও মানে ঘিরে ঘরার কথা বলিনি, বরং আলাপ-আলোচনাই বলেছি। উপরোক্ত বিষয়গুলি থেকে স্পষ্ট, সিআরপিএফের বিরুদ্ধে ভোটারদের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। গণতন্ত্র ও সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষা করাই আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করিনি।'