হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার অস্ত্র কী উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছিল?
হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার অস্ত্র কী উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছিল? নয়তো কেন আট নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা ছিল অস্ত্রগুলি? যেই সময় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ঠিক তার পরপরই, আট নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে একেরপর এক উত্তর প্রদেশ গামী ট্রেন ছাড়ে। মুঙ্গের, ভাগলপুরের মত এ রাজ্যেও কী বেআইনি অস্ত্রের উত্পাদন কেন্দ্র? একের পর বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, অস্ত্র কারখানার সন্ধান পুলিস কে নতুন করে ভাবাচ্ছে।
ওয়েব ডেস্ক: হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার অস্ত্র কী উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছিল? নয়তো কেন আট নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা ছিল অস্ত্রগুলি? যেই সময় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ঠিক তার পরপরই, আট নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে একেরপর এক উত্তর প্রদেশ গামী ট্রেন ছাড়ে। মুঙ্গের, ভাগলপুরের মত এ রাজ্যেও কী বেআইনি অস্ত্রের উত্পাদন কেন্দ্র? একের পর বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, অস্ত্র কারখানার সন্ধান পুলিস কে নতুন করে ভাবাচ্ছে।
বেশি দিন পিছিয়ে যেতে হবে না। এমাসের শুরুতেই অস্ত্র সহ হাওড়া ব্রিজে পাকড়াও হয় কেরলের দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। তাদের একজন আবু বক্কর সিদ্দিকি। কুখ্যাত ডন রবি পূজারীর সঙ্গী। ধৃতদের জেরা করেই জানা যায়, তারা মুর্শিদাবাদ গিয়েছিল অস্ত্র কেনার বরাত দিতে। এরপরই ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করে অস্ত্র-রুটের নতুন ছবি।
এতদিন বেআইনি অস্ত্র কারখানা মানেই ছিল বিহারের মুঙ্গের, গয়া, ভাগলপুর। এরাজ্যের দুষ্কৃতীই হোক বা ভিনরাজ্যের, অস্ত্র কিনতে পাড়ি দিত বিহারে। সেই বিহার ছেড়ে এখন কুখ্যাত ডনেরা হাজির এরাজ্যে। গত তিন মাসে কলকাতা শহরতলিতে হদিশ মিলেছে একের পর এক অস্ত্র কারখানার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা, রবীন্দ্রনগর, বারুইপুর বা ক্যানিং। উত্তরে মালদার বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক। কখনও আবার মুর্শিদাবাদের ডোমকল। বারবার উদ্ধার অস্ত্র। পর্দাফাঁস অস্ত্র কারখানার। 9mm, 7mm থেকে শুরু করে সিঙ্গল শটার, সবই তৈরি হত এই কারখানাগুলিতে। কিন্তু কেন এরাজ্যে অস্ত্র নির্মাণের রমরমা?
আঙুরের উপকারিতাগুলো জেনে নিন
মুঙ্গের থেকেই কারিগর এনে রাজ্যেই তৈরি করা হচ্ছে অস্ত্র। দ্রুত বদলাচ্ছে অস্ত্র পাচারের রুটও। খালি এরাজ্য নয়, এখান থেকেই অস্ত্র পৌছচ্ছে ভিনরাজ্যেও । শুক্রবার রাতে হাওড়া স্টেশনে ধরা পড়া অস্ত্র গোয়েন্দাদের এই সন্দেহকে আর ঘনীভূত করছে। হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পড়ে থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় আঠারোটি পিস্তলের কাঠামো। তবে কীভাবে ওই ব্যাগ প্ল্যাটফর্মে এল তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু কিছু সূত্র এক করে পুলিসের অনুমান, অস্ত্র ট্রেনে করে উত্তরপ্রদেশ পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। যে আট নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেই প্ল্যাটফর্ম থেকে রাত আটটা থেকে সাড়ে নটার মধ্যে ছাড়ে,
গোয়েন্দাদের অনুমান সম্ভবত উত্তর প্রদেশের ভোটে ব্যবহারের জন্যই এরাজ্যে তৈরি হওয়া পিস্তলের কাঠামো,গুলি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। ফলে ভাগলপুর কিংবা মুঙ্গেরের বদলে এরাজ্যই অস্ত্র তৈরির কেন্দ্র হয়ে উঠছে কিনা, সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিস ও গোয়েন্দাদের।