চিটফান্ড রুখতে পুরনো বিল ঘুরিয়ে আনছে রাজ্য

চিটফান্ড রোধে রাজ্য সরকার যে নতুন বিল আনতে চলেছে তারা সঙ্গে বাম আমলে আনা পুরনো বিলের মিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। তবে তিনটি ক্ষেত্রে বিলটিতে ভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে।

Updated By: Apr 27, 2013, 04:05 PM IST

সারদা গোষ্ঠীর  চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পর মঙ্গলবার বিধানসভায় নতুন বিল আনতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী।
 
২০০৯ সালে ১২ই ডিসেম্বর রাজ্যে আর্থিক কেলেঙ্কারি রোধে বিল এনেছিল বাম সরকার। বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে ওই বিল পাস হয়। এখনও পর্যন্ত ওই বিলে মেলেনি রাষ্ট্রপতির সম্মতি। সারদাকাণ্ডের জেরে নতুন করে এবিষয়ে বিল আনতে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার সেই বিলের প্রতিলিপি পাঠিয়ে দেওয়া হয় সব দলের বিধায়কের কাছে। 
 
নতুন বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তিনটি বিষয়--
 
আগের বিলে অভিযুক্তের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা ছিল জেলাশাসক কিংবা পুলিস কমিশনারের। নতুন বিলে এই ক্ষমতা থাকছে ডিরেক্টরেট অফ ইকনমিক অফেন্স উইংয়ের।
 
নতুন বিলে, সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবে ডিরেক্টরেট অফ ইকনমিক অফেন্স উইং।  ওই ওয়ারেন্টেই তল্লাসি এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে। চিটফান্ডের তদন্তে রাজ্য সরকারের গড়া কমিশন তাদের রিপোর্ট দিলে এবং সেই রিপোর্ট সরকার গ্রহণ করলে নতুন বিলে চলতি আর্থিক অপরাধের বিচার করা যাবে।
 
নতুন বিলের পরিপ্রেক্ষিতে আদৌ কি সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। সরকারপক্ষের দাবি, নতুন বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি মিললে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কোনও আইনানুগ বাধা থাকবে না। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের কুড়ির এক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আজকের কোনও অপরাধের বিচার আগামিকাল তৈরি কোনও আইনে হতে পারে না।
এক্ষেত্রে অপরাধী দাবি করতে পারে, সাজা বেশি জানলে অপরাধই করতাম না। ফলে নতুন বিলের আওতায় সারদাকাণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে কিনা, সেনিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই প্রশ্নও উঠছে যে, ২০০৯ সালের বিলেই নতুন বিষয়গুলি  সংশোধনী হিসাবে কেন অন্তর্ভুক্ত করা গেল না। সেক্ষেত্রে বিল কার্যকর করতে কম সময় লাগত। কার্যত আইনি জটিলতা এবং রাষ্ট্রপতির সই না হওয়ার কারণে গত এগারো বছর ধরে আটকে এই বিল। নতুন বিলও যে রাষ্ট্রপতির সই হয়ে দ্রুত কার্যকর হবে তার নিশ্চয়তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ফলে সারদা গোষ্ঠীর অপরাধের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নতুন বিল আনার উদ্দেশ্য ঘিরে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে।

.