WB Panchayat Election 2023: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা, নওশাদ সিদ্দিকির করা মামলায় কড়া অবস্থান আদালতের
WB Panchayat Election 2023: বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে সিপিএম। দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, দফা বাড়ানোর মামলা আমরা করিনি। আইএসএফ করেছে। সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের দফারফা হয়ে গিয়েছে
অর্নবাংশু নিয়োগী: মনোনয়ন দাখিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্যের বহু জায়গা। বিরোধীদের দাবি ছিল তাদের নমিনেশন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে শাসকদল। এরকম এক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট করানোর দাবি তুলেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে তিনি আবেদন করেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানো হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-অভিষেকের সভাস্থলের কাছেই মিলল তরোয়াল, নেপথ্যে কে উঠছে প্রশ্ন
ভোটের দফা বাড়ানোর নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকি যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন দফার আবেদন? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। নওশাদ সিদ্দিকির আবেদন ছিল নির্বাচনের দফা বাড়ানো হোক। যে বাহিনী আসছে তাতে এক দফায় ভোট করানো সম্ভব নয়। এক দফায় ভোট করানোর যে বিজ্ঞপ্তি নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল তা বাতিল করা হোক।
ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আদালত অবমাননার মামলা চলছে। সেখানে সব বিষয়টাই রয়েছে। তাহলে নতুন করে কেন আবার আবেদন করা হচ্ছে। আজ আড়াইটেয় ও আদালত অবমাননার শুনানি হবে। আইএসএফ বিধায়কের মামলা খারিজ করা হল।
আইএসএফ বিধায়কের মামলা খারিজ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, এমন একটি দলের কথা বলা হচ্ছে যে দলটার ব্যালট পেপারে নাম লেখার জায়গায় নেই। ব্যালট পেপারে আইএসএফ লেখা থাকবে না। এদের অস্তিত্ব বাংলায় দূরবীণ দিয়ে খুঁজতে হয়। একটা মাত্র বিধায়ক নিয়ে বিজেপির টাকায় পুষ্ট হয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরা তৃণমূলকে বিব্রত করার জন্য অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে। এদের কী আর গুরুত্ব রয়েছে? কত দফায় ভোট হল, কত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকল তাতে তৃণমূলে কিছু যায় আসে না। সারা বছর আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। তাই ভোটের সময়ে আমরা নিশ্চিন্তে থাকি। মানুষ দুহাত ভরে তৃণমূলকে আশীর্বাদ করবে।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে সিপিএম। দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, দফা বাড়ানোর মামলা আমরা করিনি। আইএসএফ করেছে। সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের দফারফা হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার চেয়েছে দফারফা করতে। একটি অযোগ্য় লোককে নির্বাচন কমিশনারের পদে বসানো হয়েছে। রাজ্যপাল তাতে সিলমোহর দিয়েছেন। মানুষ এসব দফা দেখছে না। তারা বুঝেছে নিজের অধিকার লড়াই করেই রক্ষা করতে হবে। কখন বাহিনী আসবে, কটা দফা হবে তার জন্য মানুষ আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়। যা বারোটা বাজানোর তা বাজিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মানুষ এনিয়ে মাথা ঘামায় না।