RBU: 'দফতরে চা ও জল দেওয়ারও লোক নেই', পদ ছাড়তে চান উপাচার্য!
বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা! ন্যাক মূল্যায়ণ সংক্রান্ত কাজও কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। 'শিক্ষকরাই ফাইল নিয়ে আসছেন', বিস্ফোরক উপাচার্য।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাতারাতি উধাও কর্মচারীরা! 'অফিসে চা ও জল দেওয়ারও লোক নেই', বিস্ফোরক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি।
কেন এমন পরিস্থিতি রবীন্দ্রভারতীতে? উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর অভিযোগ, 'আমার দফতরে যে কর্মচারীরা কাজ করতেন, তাঁদের কোনও অজ্ঞাত কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার অবশ্য জানিয়েছেন, কোনও প্রশাসনিক নির্দেশ ছিল না। নিয়ম অনুযায়ী এক দফতর থেকে অন্য দফতরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, তাও নয়'। তাঁর দাবি, 'যাঁরা স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁদের বদলে অন্য কিছু লোক এসে এখানে বসেন। তাঁরা বলেন তাঁদের পাঠানো হয়েছে। কে পাঠিয়েছেন, সেটা তাঁরা বলেননি। ফলে আমাদের একজন শিক্ষাকর্মীকে শোকজ করতে হয়েছে। এই শোকজের জেরেই নিজেদের যাঁরা কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা বলে দাবি করেন, তাঁদের নির্দেশেই সবাইকে তুলে নিয়েছে'।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee On CAA: ভোট বলেই সিএএ, গুজরাট মডেল বাংলায় করতে দেব না
এদিকে কর্মচারীর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্ম। পরিস্থিতি এমনই যে, ন্যাক মূল্যায়ণ সংক্রান্ত কাজও কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য জানিয়েছেন, 'সোমবার থেকে অফিসে কোনও কর্মচারী নেই। শিক্ষকরাই ফাইল নিয়ে আসছেন। আমি পদে থাকতে চাই না'। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সংগঠনের নেতারা।
এর আগে, রবীন্দ্রভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাস দোল উৎসবকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি ছবি। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল, একদল যুবক-যুবতীর খোলা পিঠে-বুকে আবির দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিকৃত করে অশ্লীল শব্দ লেখা। সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতীর বিশ্ববিদ্য়ালের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। যদিও তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি।