বউবাজারে টানেল বিপর্যয়, সাধারণ মাটি পরীক্ষায় ধরা পড়ে না এই ধরনের ওয়াটার পকেট!
এখন তীরে এসে কি তরী ডুববে? উঠছে প্রশ্ন। প্রায় শেষ হয়ে গেছিল কাজ। বাকি ছিল শুধু লাইন পাতার কাজ
নিজস্ব প্রতিবেদন: বউবাজারে টানেল বিপর্যয়ে ঘরছাড়া কয়েকশো মানুষ। মেট্রোরেলের সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। ফাটল দেখা দিয়েছে কয়েকটি বাড়িতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়াটার পকেট লিক করেই এই বিপত্তি ঘটেছে বউবাজারে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার আগে মাটি পরীক্ষা কি হয়নি?
আরও পড়ুন-নাগরিকপঞ্জীতে যাদের নাম নেই তাঁরা ‘দেশহীন’ বা ‘বিদেশি’ নন, জানিয়ে দিল বিদেশ মন্ত্রক
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার আগে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন কোনও ওয়াটার পকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। পরে বোঝা যায় এই এলাকায় মাটির নীচে তৈরি হয়েছিল একাধিক অ্যাকুইফার। সাধারণ মাটি পরীক্ষায় এই ধরনের ওয়াটার পকেট বা অ্যাকুইফারের অস্তিত্ব টের পাওয়া য়ায় না। ওইসব অ্যাকুইফার একটি বড় এলাকা জুড়ে থাকে। ওই অ্যাকুইফার লিক করেই জল ঢুকে গিয়েছে সুড়ঙ্গে। এর ফলেই ওই ওয়াটার পকেট লাগোয়া মাটি গিয়েছে বসে। মাটির ওপরে থাকা বাড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন-কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করার অনুমতি দিল পাকিস্তান
ঠিক কি ঘটেছে তা জানার জন্য আজ বিকেলে দিল্লি মেট্রো রেলের তরফে এক জন বিশেষজ্ঞ এলাকায় আসার কথা। বুধবার বিকেলের মধ্যে জার্মানি থেকে একজন বিশেষজ্ঞ আসছেন। এই ঘটনার পর সিপিএস মেশিন দিয়ে টানেল ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত স্থগিত মেট্রো প্রকল্পের কাজ।
ধর্মতলা থেকে বৌবাজার হয়ে শিয়ালদা পর্যন্ত মেট্রো টানেলের কাজ শিয়ালদা পৌঁছাতে বাকি আর প্রায় ৮০০ মিটার। এখন তীরে এসে কি তরী ডুববে? উঠছে প্রশ্ন। প্রায় শেষ হয়ে গেছিল কাজ। বাকি ছিল শুধু লাইন পাতার কাজ।