ট্যাংরাকাণ্ডে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করতে চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে গেল পুলিসের!

ট্যাংরাকাণ্ডে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করতে চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে গেল পুলিসের। নৃশংস এই ঘটনায়, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আক্রান্তের পরিবার। চব্বিশ ঘণ্টায় এক্সক্লুসিভ বয়ানে, হামলাকারীদের নাম বলে দিয়েছেন খোদ জখম তৃণমূল কর্মীও। যদিও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। দুটি পা'ই কেটে, তাঁকে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয় দুর্ঘটনার তত্ত্ব সাজিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কিন্তু সফল হয়নি নৃশংস এই পরিকল্পনা। হাসপাতালের বেডে শুয়ে এদিন রাহুল নিজেই ফাঁস করে দিয়েছেন, হামলাকারীদের নাড়ি-নক্ষত্র।  

Updated By: Mar 14, 2016, 10:17 PM IST
 ট্যাংরাকাণ্ডে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করতে চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে গেল পুলিসের!

ওয়েব ডেস্ক: ট্যাংরাকাণ্ডে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করতে চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে গেল পুলিসের। নৃশংস এই ঘটনায়, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আক্রান্তের পরিবার। চব্বিশ ঘণ্টায় এক্সক্লুসিভ বয়ানে, হামলাকারীদের নাম বলে দিয়েছেন খোদ জখম তৃণমূল কর্মীও। যদিও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। দুটি পা'ই কেটে, তাঁকে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয় দুর্ঘটনার তত্ত্ব সাজিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কিন্তু সফল হয়নি নৃশংস এই পরিকল্পনা। হাসপাতালের বেডে শুয়ে এদিন রাহুল নিজেই ফাঁস করে দিয়েছেন, হামলাকারীদের নাড়ি-নক্ষত্র।  

যাদের নাম বলছেন রাহুল, তাঁর পরিবারের তরফেও তাদের নামেই এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, পুলিস ব্যস্ত অভিযুক্তদেরকেই আড়াল করতে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা তৃণমূল কাউন্সিলর ও  বিধায়ক অনুগামী বলেই হাত গুটিয়ে পুলিস। যাকে এত দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছেন বিধায়ক, সেই প্রদীপ গুহর নাম এফআইআরে জ্বলজ্বল করছে। গতবছর ট্যাংরা থানার সামনে গুলি চালানোর ঘটনাতেও নাম জড়ায় প্রদীপ গুহর।

আগে থেকেই পুলিসের খাতায় নাম রয়েছে এফআইআরে নাম থাকা আরেক অভিযুক্ত মনোজ হাজরারও। ট্যাংরা থানার সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতারও হয় মনোজ। নৃশংস এই ঘটনায়,লঘু ধারায় মামলা রুজু করে দায় সেরেছে শিয়ালদহ জিআরপি, শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল পরিবারের। এই মামলায়, প্রথমে দেওয়া হয় তিনশো ছাব্বিশ, তিনশো একচল্লিশ এবং চৌত্রিশ ধারা, অর্থাত গুরুতর আঘাত করা, জবরদস্তি আটকে রাখা এবং ঘটনায় একাধিক লোকের জড়িত থাকার মামলা। সোমবার চাপের মুখে শেষপর্যন্ত FIR এ যোগ করা হল, তিনশো সাত অর্থাত্‍ খুনের চেষ্টার ধারাও। এরপরও অবশ্য বিতর্ক পিছু ছাড়েনি পুলিসের। অভিযুক্তদের ধরপাকড়ের ক্ষেত্রেও উঠছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।

.