মহানগরীতে জোড়া আগুন

ফের দু`টি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের শিকার হল কলকাতা। শুক্বার মধ্যরাতে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ট্যাংরার খালপাড় লাগোয়া বস্তি এলাকা। অন্যদিকে শনিবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডে পার্ক স্ট্রিটের কারনানি এস্টেটের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Updated By: Jun 16, 2012, 11:45 AM IST

ফের দু`টি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের শিকার হল কলকাতা। শুক্বার মধ্যরাতে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ট্যাংরার খালপাড় লাগোয়া বস্তি এলাকা। অন্যদিকে শনিবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডে পার্ক স্ট্রিটের কারনানি এস্টেটের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে প্লাস্টিকের গুদাম থেকেই ট্যাংরারা আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। দমকল দেরিতে পৌঁছোনোর কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে  অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের । রাত তিনটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। প্লাস্টিকের গোডাউনে শর্টসার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকল কর্মীদের।
ট্যাংরা থানা এলাকায় একটি প্লাস্টিকের গুদামে বিধ্বংসী আগুনের জেরে ভস্মীভূত খালপাড় লাগোয়া ৯০০ ঝুপড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ হঠাত্‍ই ৮ নম্বর পাগলাডাঙা রোডের এই প্লাস্টিকের গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন তাঁরা। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়।  ১২-৫০ নাগাদ গুদাম সংলগ্ন খালপাড়ের বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘন জনবসতি এলাকায় আগুন লাগায় আতঙ্কে ঝুপড়ি ফাঁকা করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  এরপর বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিণ্ডারে বিস্ফোরণের জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে টানা ঘন্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। রাত ৩টে নাগাদ পুরোপুরিভাবে আয়ত্তে আসে আগুন। প্লাস্টিকের গোডাউনে শর্টসার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকল কর্মীদের। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্লাস্টিকের গোডাউন সহ ৯০০টি ঝুপড়ি। দমকল দেরিতে পৌঁছোয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের । ঘটনাস্থলে দমকলের বা পুরসভার কোনও পদস্থ আধিকারিক না আসাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
অন্যদিকে, শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পার্ক স্ট্রিটের কলামন্দিরের কাছে কারনানি এস্টেটে আগুন লাগে। দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এস্টেটের বাসিন্দাদের মধ্যে। আটকে পড়েন কয়োকশো বাসিন্দা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। প্রায় দু`ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। উদ্ধার করা হয় বাসিন্দাদেরও। আগুনের কারণ সম্পর্কে দমকলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা না হলেও শট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান।

.