সেদিনের তাণ্ডব, আজকের সাফাই
ফের নজিরবিহীন ধুন্ধুমার কাণ্ডের সাক্ষী রইল বিধানসভা। এঘটনায় বিরোধী দলগুলি অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে এই প্রথম নয়। বিরোধী আসনে থাকার সময়েই বিধানসভায় তাণ্ডবের ইতিহাস তৈরি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তাণ্ডবে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এখন তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে।
ফের নজিরবিহীন ধুন্ধুমার কাণ্ডের সাক্ষী রইল বিধানসভা। এঘটনায় বিরোধী দলগুলি অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে এই প্রথম নয়। বিরোধী আসনে থাকার সময়েই বিধানসভায় তাণ্ডবের ইতিহাস তৈরি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তাণ্ডবে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এখন তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে।
বিধানসভা সেবার সাক্ষী থেকেছিল নজিরবিহীন তাণ্ডবের। ইস্যু ছিল সিঙ্গুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিধানসভায় ভাঙচুর চালিয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়করা। বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে তাণ্ডব। ১১ ডিসেম্বর, ২০১২। ফের তাণ্ডবের সাক্ষী রাজ্য বিধানসভা। অধিবেশনের মধ্যেই আক্রান্ত হলেন বিধায়করা। মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় সিপিআইএম বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রমকে। রক্তাক্ত সিপিআইএমের গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ও। তৃণমূল কংগ্রেসেরও দুই বিধায়ক আহত হয়েছেন। অধ্যক্ষের সামনেই আক্রমণের মুখে পড়তে হল বাম বিধায়কদের। যদিও আজকের ন্যাক্কারজনক ঘটনার দায় বামেদের ওপরই চাপিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের পরিষদীয় দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "মানুষের কাছে কলকে না পাওয়ায় এখন বিধানসভায় তাণ্ডব চালাচ্ছে সিপিআইএম।" অধ্যক্ষকেও শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি। তাই বারবারই উঠে আসছে ২০০৬-এ তৃণমূল তাণ্ডবের তুলনাও। দুটি ঘটনাতে একটাই মিল। সেবার বিধানসভায় ভাঙচুর চালায় তত্কালীন বিরোধী আসনে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও বিধানসভায় তাণ্ডব চালান শাসকদল তৃণমূলের বিধায়করাই। তবে অমিল কোথায়? সেবার ভাঙচুর করা হয়েছিল আসবাবপত্র। এবার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বিরোধীদলের বিধায়করাই। আরও তাত্পর্যপূর্ণ সেদিন বিরোধী দলে থেকে যাঁরা বিধানসভায় ভাঙচুরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের আজ অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।
৩০নভেম্বর ২০০৬ না ১১ ডিসেম্বর, ২০১২? কোন ঘটনা বেশি কলঙ্কজনক? শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে যেখানে সরকারপক্ষের বিধায়করা একযোগে বিরোধীদলের মহিলা বিধায়ককে মাটিতে ফেলে মারধর করেন, সেই ঘটনা যে কতটা ন্যক্কারজনক তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।