মিথ্যা মামলা সাজিয়ে কাঠগড়ায় পুলিস
এক ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠল পুলিসের বিরুদ্ধে। অতি-সক্রিয়তা এবং অতি তত্পরতা দেখাতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় টালিগঞ্জ থানা। অভিযুক্তকে দিয়ে মূল অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে জোর করে অভিযোগ দায়ের করিয়ে নেওয়া হয়েছে টালিগঞ্জ থানায়।
এক ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠল পুলিসের বিরুদ্ধে। অতি-সক্রিয়তা এবং অতি তত্পরতা দেখাতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় টালিগঞ্জ থানা। অভিযুক্তকে দিয়ে মূল অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে জোর করে অভিযোগ দায়ের করিয়ে নেওয়া হয়েছে টালিগঞ্জ থানায়। অরিজিত্ বসু নামে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ভাবে মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে, শুক্রবার তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আলিপুর আদালত। ক্ষুব্ধ অরিজিত্বাবু এ বার পুলিসের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করতে চলেছেন।
হোটেলে গান-বাজনার যন্ত্র বসানোর ব্যবসায় যুক্ত ১২৩ শরত্ বসু রোডের বাসিন্দা অরিজিত্ বসু। ঘটনার সূত্রপাত গত বছর নভেম্বর মাসে। ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা সত্যজিত্ মহান্তির একটি পাবে বাদ্যযন্ত্র বসানোর জন্য দুটি চেক পান অরিজিতবাবু। কিন্তু চেক বাউন্স করে। এরপর ফোনেও আর সত্যজিত মহান্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি অরিজিতবাবু। শনিবার রাতে পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে তিনি সত্যজিত মহান্তিকে দেখতে পান। দুজনে সেথান থেকে সত্যজিত্বাবুর বাড়ি যান। সেখানেও একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি হয়।
প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন টালিগঞ্জ থানার এক সাব ইন্সপেক্টর। তিনি থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপরই বিপত্তি। পুলিস উল্টে অভিযুক্ত সত্যজিত মহান্তিকে দিয়েই অভিযোগকারী অরিজিতবাবুর বিরুদ্ধে কেস রুজু করায় বলে অভিযোগ। কিন্তু যে সব ধারায় অভিযোগ করা হয় সেগুলি সবই জামিনযোগ্য। সে ক্ষেত্রে থানা থেকেই তাঁকে জামিন দিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে রবিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিস।
বিচারক এক হাজার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তি দেন অরিজিত্বাবুকে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অরিজিত্ বসু এখন পুলিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চলেছেন।