শীতকালীন অধিবেশনে CAA বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায়! প্রস্তুতি তৃণমূলের
সিএএ প্রসঙ্গে বরাবরই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় বলেছেন এই রাজ্যে সিএএ অথবা এনআরসি তিনি কার্যকর করতে দেবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগোবাংলায় জানানো হয়েছে যে ১৮ নভেম্বর শুরু হতে চলা রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সেখানে শাসকদলের পক্ষ থেকে একটি সিএএ বিরোধী সর্বদলীয় প্রস্তাব আনা হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিএএ-র বিরুদ্ধে সর্বদলীয় প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সামনে রয়েছে রাজ্যও বিধানসভার শিতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনেই এই সর্বদলীয় প্রস্তাব আনতে চলেছে তাঁরা। বুধবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছ এই খবর।
সিএএ প্রসঙ্গে বরাবরই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় বলেছেন এই রাজ্যে সিএএ অথবা এনআরসি তিনি কার্যকর করতে দেবেন না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগোবাংলায় জানানো হয়েছে যে ১৮ নভেম্বর শুরু হতে চলা রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সেখানে শাসকদলের পক্ষ থেকে একটি সিএএ বিরোধী সর্বদলীয় প্রস্তাব আনা হবে। সেই প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই রাজ্যে সিএএ কার্যকর করা হবে সেই প্রস্তাব এনে বিধানসভায় পাশ করানো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। গুজরাটের যে সাম্প্রতিক ঘটনায় দেখা গিয়েছে সিএএ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় তা কার্যকর করার উদ্যগ নেওয়া হচ্ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব আনা হচ্ছে যাতে এই রাজ্যে কখনও সিএএ সংক্রান্ত কিছু কার্যকর করা সম্ভব না হয়।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: সপ্তাহান্তে কমবে তাপমাত্রা, শীতের অপেক্ষায় রাজ্য
অন্যদিকে সিএএ নিয়ে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ কে ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘এই যে উগ্রপন্থী ধরা পড়ছে, বাংলা থেকে সাড়া দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই যে টেরোরিস্ট তৈরির কারখানা তৈরি করেছেন এগুল বন্ধ হয়ে যাবে। আর এরাই ওদেরকে ভোট দিয়ে জেতায়। ভোটের সময় এবং ভোটের পরে যে উৎপাত হয়েছে তাতে এরাই যুক্ত ছিল। সিএএ-র বিরুদ্ধে বাংলায় আন্দোলনে যে আগুন জ্বালানো হয়েছে তা এরাই করেছে। এই বিদেশ থেকে আশা অনুপ্রবেশকারী, দুষ্কৃতিরা পশ্চিমবঙ্গকে লুটে খাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের সমস্ত সুবিধা এমনকি আবাস যোজনা এবং শৌচালয়ের টাকাও খেয়ে নিচ্ছে। এই যে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল হচ্ছে, জব কার্ড এগুলোর সুবিধা ওরা নিয়ে নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।‘
তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে এটা হওয়া দরকার আছে। মমতা ব্যানার্জি তাঁর বিরধিতা করছেন। তাই প্রথম থেকে উনি আধার কার্ডের বিরোধিতা করে এসেছেন। যাতে এরা ধরা না পরে। এরা ধরা পরে গেলে টিএমসি আর জিততে পারবে না’।