মমতার কাটমানি মন্তব্যে ব্যুমেরাং, ডিগবাজি দিয়ে তৃণমূলের দাবি, ৯৯.৯৯% নেতাই সত্
কাটমানির ড্যামেজ কন্ট্রোলে সাফাই দিল তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের পর রাজ্য রাজনীতি আলোচনার বিষয় এখন 'কাটমানি'। দলের নেতাদের সঙ্গে কাটমানি নিয়ে সাবধান করে দিয়েছেন নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দেন, তুমি কমিশন নেবে। সহ্য করবে দল। নিয়ে থাকলে ফেরত দিয়ে দেবেন। আর তারপরই জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে দলের নেতাকর্মীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যই হাতিয়ার করে শাসক দলকে দিবারাত্র বিঁধছেন বিরোধী নেতানেত্রীরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতির ময়দানে ব্যাকফুটে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিবৃতি দিয়ে জানালেন, ১৮ জুন দলীয় কর্মীদের প্রতি তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ বিকৃত করছে সংবাদ মাধ্যমের একাংশ। দলের সব নেতাকে কখনই দুর্নীতিগ্রস্ত বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। এটা বিরোধীদের অপপ্রচার।
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর দলে শুদ্ধিকরণের ডাক দিয়েছেন মমতা। দলীয় বৈঠকে কাটমানি নিয়ে নেতানেত্রীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাটমানি নিয়ে থাকলে ফেরত দেওয়ার নিদানও দেন। নদিয়ার সভায় কাটমানি খেলে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার 'কাটমানি' মন্তব্যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে তৃণমূলে। খুলে গিয়েছে প্যান্ডোরার বাক্স। দিকে দিকে বিক্ষোভ। কাটমানি ফেরতের দাবিতে তৃণমূল নেতা কর্মীদের বাড়ির সামনে ধরণা-আন্দোলন বসেছেন মানুষ। কোথাও গ্রেফতার শাসক দলের নেতা, তো কোথাও আবার সাসপেন্ড প়ঞ্চায়েত প্রধান। আর সব কিছুর মূলেই বিজেপির যোগ রয়েছে বলে একপ্রকাশ নিশ্চিত শাসক শিবির। কাটমানি নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি ঢাকতে বিবৃতি জারি করলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় রবিবার দলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, 'মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করছে মিডিয়ার একাংশ। দলে ৯৯.৯৯ শতাংশ নেতাই সত্ ও পরিশ্রমী।তাঁরা উন্নয়নের সুফল মানুষের কাছে পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর। অন্য দল থেকে আসা কিছু লোক এখন তৃণমূলের নাম ডোবাচ্ছে। তাঁরাই শুধু দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত। পঞ্চায়েত-পুরসভার মুষ্টিমেয় কিছু লোক বিজেপিতে গেছে। তাঁদের উদ্দেশ্য অসত্ এবং কায়েমি স্বার্থ আছে। তারা অপরাধ করে ভাবছে পার পেয়ে যাবে। বিজেপিতে গেলেও অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না'।
একইসঙ্গে, বিজেপিকেও নিশানা করা হয়েছে বিবৃতিতে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভোটের সময় লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে গেরুয়া শিবির। তার উত্স কী? সংবাদমাধ্যমকে তৃণমূল মহাসচিবের প্রশ্ন, বিজেপিকে কেন এনিয়ে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে না?
আরও পড়ুন- জলের দরে ইলেকট্রিক সুপারবাইক, পুজোর আগে কিনে ফেলুন সাশ্রয়ী বাহন