দলনেত্রীর সামনেই বিদ্রোহ কাটোয়ার তৃণমূল নেতার

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা  করলেন কাটোয়ার নেতা কাঞ্চন মুখার্জি।  তাঁর  অভিযোগ দল যেভাবে চলছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস করা অসম্ভব। তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে দাঁড়িয়েই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বর্ধমানের ওই বর্ষীয়ান নেতা। আজ বর্ধমান জেলার নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে সরব হয়েছিলেন কাঞ্চন মুখার্জি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই এক বর্ষীয়ান নেতার এই বিদ্রোহকে ঘিরে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। 

Updated By: Dec 22, 2012, 08:56 PM IST

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা  করলেন কাটোয়ার নেতা কাঞ্চন মুখার্জি।  তাঁর  অভিযোগ দল যেভাবে চলছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস করা অসম্ভব। তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে দাঁড়িয়েই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বর্ধমানের ওই বর্ষীয়ান নেতা। আজ বর্ধমান জেলার নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে সরব হয়েছিলেন কাঞ্চন মুখার্জি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই এক বর্ষীয়ান নেতার এই বিদ্রোহকে ঘিরে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। 
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিজের বাড়িতেই বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ডাকা হয়েছিল বর্ধমান জেলার সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলার শীর্ষ নেতাদের। বর্ধমানের কাটোয় সমেত জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দলের অন্দরের কোন্দলের জন্য  দলীয় নেতাদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন তৃণমূল নেত্রী। রেয়াত করা হয়নি মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কেও। তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়  তিনি যেন দলের ব্যাপারে মাথা না ঘামান। জেলায় দলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মলয় ঘটক।
কিন্তু তারপরই যে এভাবে দলের নেতৃত্বের একাংশ বিদ্রোহ করবেন তা সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি তিনিও। কাঞ্চন বাবু বৈঠক থেকে বেরিয়ে সকলের সামনেই জানিয়ে দেন, পদত্যাগ করছেন তিনি।
কাঞ্চনবাবুর এই বিদ্রোহের খবর তত্ক্ষণাত্ পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তৃণমূল সূত্রে খবর এই ঘটনায় দারুণ ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু ছিলেন রীতিমতো আক্রমণাত্মক। মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন সংগঠন নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই তাঁর। মন্ত্রীত্ব করুন। সংগঠনের যা সামলানোর মলয় ঘটকই সামলাবেন।
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াইকে অনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই পুরসভার কাজকর্ম সরাসরি পুরমন্ত্রী ফিরাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলে করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা করা যায় কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।
তাত্পর্যপূর্ণ বিষয হল গোষ্ঠীকোন্দলকে ধামা চাপা দেওয়ার বৈঠকে ফের নতুন করে মাথা চাড়া দিল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।

.